বিনোদন প্রতিবেদক: তখন ঢালিউডের তুমুল আলোচিত নায়ক মান্না। শুটিংয়ে তেমন কোনো বিরতি নেই। একের পর এক চলছে এক শুটিং স্পট থেকে অন্য শুটিংয়ে। অন্যদিকে পরিচালক, প্রযোজকদের চিত্রনাট্য নিয়ে ভিড়। এমন ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি পরিবারকে সময় দিতেন। এমনকি গ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসতেন।
মান্না মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি তারকাখ্যাতি পেলেও সম্পর্কের জায়গায় তাঁর মধ্যে কখনোই তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। আগের মতোই তিনি আত্মীয়স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতেন, মিশতেন। এমনকি গ্রামে গিয়েও তিনি নিজে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতেন।
সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মান্না বলেছিলেন, আমার অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছে, যারা গ্রামে থাকে। আমরা একসঙ্গে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছি। তাদের মধ্যে কেউ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পড়াশোনা করতে পারেনি। তারা কেউ কেউ পান দোকানদার, কেউ চা বিক্রি করে। কিন্তু বন্ধু তো বন্ধুই। স্কুলজীবনের বন্ধু তারা। তাদের সঙ্গে গ্রামে গেলেই দেখা করতাম।
শুধু দেখা হওয়াতেই এই সম্পর্ক থেমে থাকেনি। এই বন্ধুদের জন্য কিছু করার কথা জানিয়েছিলেন এই নায়ক। সেই সম্পর্ক নিয়ে তিনি আরো বলেন, চা পান যাই বিক্রি করুক, এটা তাদের মহৎ পেশা। আমি তাদের কাছে যাই। গিয়ে বলি, দোস্ত কেমন আছিস, কী খবর। দেখা যায় তারা আমাকে বলত, আরে আপনি আইছেন, বসেন ভাই, কেমন আছেন। তখন আমি তাদের বলতাম, আপনি বলে সম্বোধন করা যাবে না। কোনো আপনি নাই। আমরা স্কুলে একসঙ্গে পড়েছি। তুই করে বলবি। বল তুই কেমন আছিস। পরে বলতাম চা খাওয়া।
বন্ধুদের দোকানে সাধারণ দর্শকদের মতোই বসে যেতেন তারকা মান্না। বসে কখনো চা, কখনো পান খেতেন। একসঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতেন। মান্না তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনোই পেছনকে ভুলে যাননি। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই পেছনকে ভুলে যাইনি। আমি আমার মতো করে সবার সঙ্গে মিশেছি। সব সময় আমি একই রকম ছিলাম। এটাই আমি।’