অর্থনৈতিক ডেস্ক: গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের অংশীদারিত্ব কমিয়ে নতুন মালিকানা কাঠামো নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। ব্যাংকের বর্তমান ২৫ শতাংশ সরকারি অংশীদারত্ব কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই খসড়া অনুমোদন পেলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে এবং ব্যাংকটি পরিচালিত হবে ঋণগ্রহীতাদের অধিকারের ভিত্তিতে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
২০১৩ সালে সরকারের সংশোধিত গ্রামীণ ব্যাংক আইন পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক পরিবর্তন আনা হচ্ছে; যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো সরকারের অংশীদারিত্বের সীমিতকরণ এবং ব্যাংকের পরিচালনার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে সোপর্দ করা।
আইন সংশোধনের খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ শেয়ার ঋণগ্রহীতাদের হাতে যাবে, আর বাকি ৫ শতাংশ থাকবে সরকারের। এতে করে ব্যাংকটির স্বতন্ত্রতা বৃদ্ধি পাবে, এবং সরকারের নিয়ন্ত্রণ কমবে।
বোর্ডে সরকারের প্রতিনিধিত্ব সীমিত করা হবে, এবং চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে পরিচালনা পর্ষদের ভোটের মাধ্যমে, সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ বাতিল করা হবে। এছাড়া আইন সংশোধনের খসড়ায় ব্যাংক পরিচালনায় আরও স্বচ্ছতা আনতে পর্ষদ সদস্যদের নিয়োগ, পরিচালকের মেয়াদ এবং চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শাখা খুলতে পারে, কিন্তু নতুন আইন সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকটি স্বাধীনভাবে শাখা খোলার সুযোগ পাবে আর বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনুমোদন দেবে।
গ্রামীণ ব্যাংক, যেটি দেশের দরিদ্র জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, এর পরিচালনায় এই পরিবর্তন গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি ক্ষমতা এবং স্বচ্ছতা আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।