ঢাকা ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গ্রামীণ টেলিকমের এমডিসহ ৩ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারসহ চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমিশনের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্ব একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামীণ টেলিকমের এমডি নাজমুল ইসলাম ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক আশরাফুল হাসান ও পারভীন মাহমুদ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাজমুল বলেন, “সকল সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ডের মাধ্যমে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর সাথে জড়িত নন ডক্টর ইউনূস।” ১৯৯৭ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের এমডির পদে আছেন নাজমুল। তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে নিয়ম মেনেই।
এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৫ অগাস্ট প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি নাজমুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট, তাদের পাওনা ৩৬৪ কোটি টাকা পরিশোধে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়। এছাড়া তাদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করাসহ কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদকের তিন সদস্যের একটি দল গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। এতে কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ছাড়াও দুদক সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী রয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইসির ওয়েবসাইট থেকে নৌকা বাদ, যুক্ত হলো দাঁড়িপাল্লা

গ্রামীণ টেলিকমের এমডিসহ ৩ জনকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

আপডেট সময় : ০২:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট এবং প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারসহ চার অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমিশনের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্ব একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রামীণ টেলিকমের এমডি নাজমুল ইসলাম ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক আশরাফুল হাসান ও পারভীন মাহমুদ জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আছে কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নাজমুল বলেন, “সকল সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ডের মাধ্যমে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছুর সাথে জড়িত নন ডক্টর ইউনূস।” ১৯৯৭ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের এমডির পদে আছেন নাজমুল। তিনি দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে নিয়ম মেনেই।
এর আগে অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২৫ অগাস্ট প্রথম দফায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি নাজমুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ লোপাট, তাদের পাওনা ৩৬৪ কোটি টাকা পরিশোধে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়। এছাড়া তাদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করাসহ কোম্পানি থেকে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের অভিযোগ রয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদকের তিন সদস্যের একটি দল গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান করছে। এতে কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ছাড়াও দুদক সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও নূরে আলম সিদ্দিকী রয়েছেন।