ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারির প্রভাবে সৃষ্ট চলমান আর্থিক সংকটে পড়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দু’একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, করোনা মহামারির অভিঘাতে চাকরি হারানো শহরের নি¤œবিত্ত ও কম আয়ের মানুষের একটি বড় অংশ কোনো ধরনের কর্মসংস্থান ছাড়াই এখন গ্রামে কঠিন জীবনযাপন করছেন। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ঘরে ফেরা’ নামের একটি কর্মসূচির অধীনে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের জন্য পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাদের এই প্যাকেজের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগের ফলে প্রত্যাবর্তনকারীরা উল্লিখিত প্রকল্প থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। এ ছাড়া ঋণদাতারা তহবিল পাবেন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে। অর্থাৎ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তারা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ নিজেদের আয় খাতে নিয়ে যেতে পারবেন। যেসব গ্রহীতারা ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেবেন, তাদের তা ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে। ঋণের পরিমাণ ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ তা পরিশোধের মেয়াদ হবে ২ বছর। এ ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের কোনো ধরনের জামানত দিতে হবে না। পুনঃঅর্থায়নের এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে পরবর্তীতে ঋণ আদায় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ৮টি খাত নির্বাচন করেছে। এগুলো হচ্ছে- স্থানীয় ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসা, পরিবহন খাতে ছোট আকারের যানবাহন ক্রয়, হালকা প্রকৌশল, মৎস্য ও পশুসম্পদ, তথ্য-প্রযুক্তির জন্য সেবাকেন্দ্র (সার্ভিস সেন্টার) স্থাপন, ফল ও শাকসবজি আবাদ, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং ঘর নির্মাণ ও মেরামত। পুনঃঅর্থায়নের এই প্রকল্পে অংশ নিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ধরনের অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে না। তবে এটি বেসরকারি কিংবা বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের জন্য তাদের চুক্তিতে সই করতে হবে। প্রসঙ্গত, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১০টি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারির প্রভাবে সৃষ্ট চলমান আর্থিক সংকটে পড়ে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দু’একদিনের মধ্যেই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, করোনা মহামারির অভিঘাতে চাকরি হারানো শহরের নি¤œবিত্ত ও কম আয়ের মানুষের একটি বড় অংশ কোনো ধরনের কর্মসংস্থান ছাড়াই এখন গ্রামে কঠিন জীবনযাপন করছেন। এতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ঘরে ফেরা’ নামের একটি কর্মসূচির অধীনে গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের জন্য পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে তাদের এই প্যাকেজের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগের ফলে প্রত্যাবর্তনকারীরা উল্লিখিত প্রকল্প থেকে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। এ ছাড়া ঋণদাতারা তহবিল পাবেন শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে। অর্থাৎ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে তারা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ নিজেদের আয় খাতে নিয়ে যেতে পারবেন। যেসব গ্রহীতারা ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ নেবেন, তাদের তা ৩ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে। ঋণের পরিমাণ ২ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার মধ্যে হলে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ তা পরিশোধের মেয়াদ হবে ২ বছর। এ ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতাদের কোনো ধরনের জামানত দিতে হবে না। পুনঃঅর্থায়নের এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর। তবে পরবর্তীতে ঋণ আদায় প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই প্রত্যাবর্তনকারীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ৮টি খাত নির্বাচন করেছে। এগুলো হচ্ছে- স্থানীয় ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসা, পরিবহন খাতে ছোট আকারের যানবাহন ক্রয়, হালকা প্রকৌশল, মৎস্য ও পশুসম্পদ, তথ্য-প্রযুক্তির জন্য সেবাকেন্দ্র (সার্ভিস সেন্টার) স্থাপন, ফল ও শাকসবজি আবাদ, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং ঘর নির্মাণ ও মেরামত। পুনঃঅর্থায়নের এই প্রকল্পে অংশ নিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কোনো ধরনের অংশগ্রহণমূলক চুক্তি করতে হবে না। তবে এটি বেসরকারি কিংবা বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের জন্য তাদের চুক্তিতে সই করতে হবে। প্রসঙ্গত, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার ১০টি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে।