ঢাকা ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫

গ্রন্থমেলায় বিক্রি নিয়ে লেখক-প্রকাশকরা হতাশ

  • আপডেট সময় : ০৩:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

সাহিত্য ডেস্ক: একুশে গ্রন্থমেলা শেষেও প্রত্যাশিত বিক্রি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন লেখক ও প্রকাশকরা। মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় থাকলেও এ বছর বই কেনার প্রবণতা তুলনামূলক কম বলে অভিযোগ করেছেন তারা। মেলা প্রাঙ্গণে বই বিক্রি নিয়ে এক রকম অসন্তোষই প্রকাশ করেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা।
মেলার কথাপ্রকাশ প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে কথা হয় কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকি গ্রন্থমেলার জন্য। বই বেরিয়েছে যথারীতি। কিন্তু কেন জানি ক্রেতাদের মধ্যে বই না কেনার প্রবণতা দেখছি। আমি গত ৭ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি-অন্যান্য বছরও যে সব মানুষ কিনতো এমন না। কেউ কেউ কিনতো না, অধিকাংশ কিনতো। এবার যো দেখছি অধিকাংশই কিনছে না, কেউ কেউ কিনছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দকর নয়। যেই পাঠকদের নিয়ে পরিবেশটা আনন্দমুখর হওয়ার কথা, যিনি লিখেছেন তার জন্য ও যারা বিক্রি করছেন তাদের জন্যও সেরকম আবহ এ বছর হয়নি।
মেলার প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেলায় আগতদের বড় একটা অংশ বই হাতে নিয়ে সেলফি ও ছবি তোলাতে সীমাবদ্ধ। তাদের অনেকেই বই কেনেননি। ফলে বিপুল মানুষের সমাগম হলেও প্রকৃত পাঠকের সংখ্যা কম। ফলে বিক্রিও কম।
বৈভব প্রকাশনীর স্টল ম্যানেজার সুপ্রিয় সাহা বলেন, গত বছরের চার সপ্তাহের তুলনায় এ বছরের একটা সপ্তাহ তা অতিক্রম করতে পারিনি। এমনকি ২০২৩ সালের তুলনায়ও এ বছর বিক্রি কম। শাহবাগে নিত্য নতুন আন্দোলনে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি সব মিলিয়ে গ্রন্থমেলায় মানুষ কম আসছে। তিনি জানান, বৈভবে এ বছর কবিতার বইয়ের মধ্যে তুহিন খানের ‘সাঁইরে চাই, সখীরেও ডাকি’ ও নুরেন দূর্দানী’র জেড পাথরের ফুলের পাঠক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া মনিরুল ইসলামের উপন্যাস ‘চুইংগোলাপিগাম’ ও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
আদর্শ প্রকাশনীর মার্কেটিং প্রধান ফারহান জাওয়াদ বলেন, এবার বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কম। রাজনৈতিকভাবে পরিবর্তিত অবস্থা, অর্থনৈতিক মন্দা, পাঠকদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন সব মিলিয়েই বিক্রি এবার বেশ কম।
মূল মঞ্চ: বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই প্রজন্ম ও প্রযুক্তি: নতুন সামাজিক বন্দোবস্তের খোঁজে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামিনা লুৎফা নিত্রা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কল্লোল মোস্তফা এবং এহ্সান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
লেখক বলছি মঞ্চ: লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক ফরিদ সাঈদ এবং কবি এবিএম সোহেল রশীদ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রন্থমেলায় বিক্রি নিয়ে লেখক-প্রকাশকরা হতাশ

আপডেট সময় : ০৩:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্য ডেস্ক: একুশে গ্রন্থমেলা শেষেও প্রত্যাশিত বিক্রি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন লেখক ও প্রকাশকরা। মেলায় দর্শনার্থীর ভিড় থাকলেও এ বছর বই কেনার প্রবণতা তুলনামূলক কম বলে অভিযোগ করেছেন তারা। মেলা প্রাঙ্গণে বই বিক্রি নিয়ে এক রকম অসন্তোষই প্রকাশ করেন প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা।
মেলার কথাপ্রকাশ প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে কথা হয় কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা গোটা বছর অপেক্ষা করে থাকি গ্রন্থমেলার জন্য। বই বেরিয়েছে যথারীতি। কিন্তু কেন জানি ক্রেতাদের মধ্যে বই না কেনার প্রবণতা দেখছি। আমি গত ৭ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি-অন্যান্য বছরও যে সব মানুষ কিনতো এমন না। কেউ কেউ কিনতো না, অধিকাংশ কিনতো। এবার যো দেখছি অধিকাংশই কিনছে না, কেউ কেউ কিনছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দকর নয়। যেই পাঠকদের নিয়ে পরিবেশটা আনন্দমুখর হওয়ার কথা, যিনি লিখেছেন তার জন্য ও যারা বিক্রি করছেন তাদের জন্যও সেরকম আবহ এ বছর হয়নি।
মেলার প্রকাশনা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেলায় আগতদের বড় একটা অংশ বই হাতে নিয়ে সেলফি ও ছবি তোলাতে সীমাবদ্ধ। তাদের অনেকেই বই কেনেননি। ফলে বিপুল মানুষের সমাগম হলেও প্রকৃত পাঠকের সংখ্যা কম। ফলে বিক্রিও কম।
বৈভব প্রকাশনীর স্টল ম্যানেজার সুপ্রিয় সাহা বলেন, গত বছরের চার সপ্তাহের তুলনায় এ বছরের একটা সপ্তাহ তা অতিক্রম করতে পারিনি। এমনকি ২০২৩ সালের তুলনায়ও এ বছর বিক্রি কম। শাহবাগে নিত্য নতুন আন্দোলনে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি সব মিলিয়ে গ্রন্থমেলায় মানুষ কম আসছে। তিনি জানান, বৈভবে এ বছর কবিতার বইয়ের মধ্যে তুহিন খানের ‘সাঁইরে চাই, সখীরেও ডাকি’ ও নুরেন দূর্দানী’র জেড পাথরের ফুলের পাঠক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া মনিরুল ইসলামের উপন্যাস ‘চুইংগোলাপিগাম’ ও ভালো বিক্রি হচ্ছে।
আদর্শ প্রকাশনীর মার্কেটিং প্রধান ফারহান জাওয়াদ বলেন, এবার বিক্রি আশঙ্কাজনক হারে কম। রাজনৈতিকভাবে পরিবর্তিত অবস্থা, অর্থনৈতিক মন্দা, পাঠকদের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন সব মিলিয়েই বিক্রি এবার বেশ কম।
মূল মঞ্চ: বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই প্রজন্ম ও প্রযুক্তি: নতুন সামাজিক বন্দোবস্তের খোঁজে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামিনা লুৎফা নিত্রা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কল্লোল মোস্তফা এবং এহ্সান মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
লেখক বলছি মঞ্চ: লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক ফরিদ সাঈদ এবং কবি এবিএম সোহেল রশীদ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ