ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

গ্যাস রফতানি শুরু করেছে মোজাম্বিক

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : প্রথমবারের মতো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। গ্যাসের প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ ইতোমধ্যে মোজাম্বিকের আঞ্চলিক জলসীমা ছেড়ে গেছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নিউসি এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন। ফিলিপ নিউসি তার ঘোষণায় বলেন, আজ মোজাম্বিক এলএনজি রফতানিকারক দেশগুলোর একটি হিসেবে বিশ্ব ইতিহাসে প্রবেশ করেছে।
মোজাম্বিকের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত কোরাল সুল গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস রফতানি করা হয়েছে। এই গ্যাসক্ষেত্রটি ইতালীয় কোম্পানি ইএনআই পরিচালনা করে থাকে। মোজাম্বিকের কাছ থেকে প্রথম চালানের গ্যাস কিনছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাস কোম্পানি বিপি।
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে মোজাম্বিকে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে। দেশটিতে প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার প্রমাণিত গ্যাসের মজুত আছে, যা বিশ্বের মোট গ্যাসের প্রায় ১ শতাংশ।
মোজাম্বিকের গ্যাসক্ষেত্রগুলো ২০১০ সালের দিকে দেশের উত্তরের কাবো ডেলগাডো প্রদেশে আবিষ্কৃত হয়েছিল। বিশাল এই গ্যাসের মজুত রফতানি করলে মোজাম্বিক বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারকদের শীর্ষ দশের তালিকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্ট্যাটিসটার মতে, মোজাম্বিক আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার পরে আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে পারে।
কোরাল সুল বছরে ৩.৪ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদন করতে সক্ষম। বর্তমানে মোজাম্বিকের তিনটি বৃহৎ জ্বালানি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। বাকি দুটি গ্যাসক্ষেত্র ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস এবং মার্কিন তেল জায়ান্ট এক্সনমোবিল পরিচালনা করে। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ওই দুই গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাস রফতানি শুরু করেছে মোজাম্বিক

আপডেট সময় : ০২:০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

বিদেশের খবর ডেস্ক : প্রথমবারের মতো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। গ্যাসের প্রথম চালান নিয়ে একটি জাহাজ ইতোমধ্যে মোজাম্বিকের আঞ্চলিক জলসীমা ছেড়ে গেছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ফিলিপ নিউসি এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন। ফিলিপ নিউসি তার ঘোষণায় বলেন, আজ মোজাম্বিক এলএনজি রফতানিকারক দেশগুলোর একটি হিসেবে বিশ্ব ইতিহাসে প্রবেশ করেছে।
মোজাম্বিকের সমুদ্রসীমায় অবস্থিত কোরাল সুল গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস রফতানি করা হয়েছে। এই গ্যাসক্ষেত্রটি ইতালীয় কোম্পানি ইএনআই পরিচালনা করে থাকে। মোজাম্বিকের কাছ থেকে প্রথম চালানের গ্যাস কিনছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাস কোম্পানি বিপি।
সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে মোজাম্বিকে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে। দেশটিতে প্রায় ২.৮ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার প্রমাণিত গ্যাসের মজুত আছে, যা বিশ্বের মোট গ্যাসের প্রায় ১ শতাংশ।
মোজাম্বিকের গ্যাসক্ষেত্রগুলো ২০১০ সালের দিকে দেশের উত্তরের কাবো ডেলগাডো প্রদেশে আবিষ্কৃত হয়েছিল। বিশাল এই গ্যাসের মজুত রফতানি করলে মোজাম্বিক বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারকদের শীর্ষ দশের তালিকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্ট্যাটিসটার মতে, মোজাম্বিক আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ার পরে আফ্রিকার তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি রফতানিকারক দেশে পরিণত হতে পারে।
কোরাল সুল বছরে ৩.৪ মিলিয়ন টন এলএনজি উৎপাদন করতে সক্ষম। বর্তমানে মোজাম্বিকের তিনটি বৃহৎ জ্বালানি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি। বাকি দুটি গ্যাসক্ষেত্র ফ্রান্সের টোটালএনার্জিস এবং মার্কিন তেল জায়ান্ট এক্সনমোবিল পরিচালনা করে। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ওই দুই গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।