ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ

  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল এবং চলমান গ্যাস সংকট নিরসন করে কার্যকর সরবরাহ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে দেশের টেক্সটাইল এবং সিরামিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও ব্যবস্থাপকদের সংগঠন ইন্ডাস্ট্রি এক্সিকিউটিভ ফোরাম (আইইএফ)। শনিবার রাতে রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় তারা এ কথা বলেন।

পাশাপাশি তারা গ্যাসখাত নিয়ে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরেন। আইইএফের সদস্য এস এইচ ফাহিমের সঞ্চালনায় শিল্পোৎপাদন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, কর্মসংস্থান ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক সভায় বক্তব্য রাখেন যমুনা গ্রুপের হুরাইন হাইটেক ফেব্রিকের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাকিম, মিথিলা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. সাজেদুর রহমান তালুকদার, প্যারাগন সিরামিকসের সিনিয়র জিএম মোসাহেব কাক্কা ও জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্সের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) মো. শফিকুর রহমান।

সভায় বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে দ্রুত এবং ঘনঘন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২২ এর জুনে ১৫.৫২ শতাংশ, ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারিতে ৮৭.৫০ শতাংশ, ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে ২.৫০ শতাংশ এবং ২০২৪ এর মে মাসে ২.৪৪ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়।

সংগঠনটির মতে, নতুন শিল্পে জন্য গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে শিল্প ধংস হবে। কর্মসংস্থান এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বন্ধ হবে। কারণ নতুন শিল্প স্থাপন বা শিল্প সম্প্রসারণ না করলে উদ্যোক্তা তার ব্যবসায়িক সক্ষমতা হারান।

খান কনসালটেন্সির প্রধান নির্বাহী এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সাবেক পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমদানিনির্ভর না হয়ে গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎস সন্ধান এবং উন্নত কারিগরি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে গ্যাসের জন্য নিরাপদ এবং অর্থ ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতি নেওয়া জরুরি।

আইইএফ মনে করে, রপ্তানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ, প্রয়োজনে গ্রাহকের বর্ধিত চাহিদা পূরণ এবং অতিরিক্ত গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য ধার্য না করা জরুরি। সমস্যা সমাধানে আইইএফ ৮টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে, গ্যাস বিক্রি করে সরকারি মুনাফা না করা।

এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহার করা। গ্যাসের ওপর চাপ কমানোর জন্য শিল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সার্বিক সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাতিল এবং চলমান গ্যাস সংকট নিরসন করে কার্যকর সরবরাহ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে দেশের টেক্সটাইল এবং সিরামিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও ব্যবস্থাপকদের সংগঠন ইন্ডাস্ট্রি এক্সিকিউটিভ ফোরাম (আইইএফ)। শনিবার রাতে রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় তারা এ কথা বলেন।

পাশাপাশি তারা গ্যাসখাত নিয়ে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরেন। আইইএফের সদস্য এস এইচ ফাহিমের সঞ্চালনায় শিল্পোৎপাদন, সাশ্রয়ী জ্বালানি, কর্মসংস্থান ও টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক সভায় বক্তব্য রাখেন যমুনা গ্রুপের হুরাইন হাইটেক ফেব্রিকের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাকিম, মিথিলা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. সাজেদুর রহমান তালুকদার, প্যারাগন সিরামিকসের সিনিয়র জিএম মোসাহেব কাক্কা ও জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্সের নির্বাহী পরিচালক (বিপণন) মো. শফিকুর রহমান।

সভায় বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে দ্রুত এবং ঘনঘন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় ২০২২ এর জুনে ১৫.৫২ শতাংশ, ২০২৩ এর ফেব্রুয়ারিতে ৮৭.৫০ শতাংশ, ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে ২.৫০ শতাংশ এবং ২০২৪ এর মে মাসে ২.৪৪ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়।

সংগঠনটির মতে, নতুন শিল্পে জন্য গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে শিল্প ধংস হবে। কর্মসংস্থান এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বন্ধ হবে। কারণ নতুন শিল্প স্থাপন বা শিল্প সম্প্রসারণ না করলে উদ্যোক্তা তার ব্যবসায়িক সক্ষমতা হারান।

খান কনসালটেন্সির প্রধান নির্বাহী এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের সাবেক পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমদানিনির্ভর না হয়ে গ্যাসের অভ্যন্তরীণ উৎস সন্ধান এবং উন্নত কারিগরি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে গ্যাসের জন্য নিরাপদ এবং অর্থ ও সময়সাশ্রয়ী পদ্ধতি নেওয়া জরুরি।

আইইএফ মনে করে, রপ্তানি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়াতে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ, প্রয়োজনে গ্রাহকের বর্ধিত চাহিদা পূরণ এবং অতিরিক্ত গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত মূল্য ধার্য না করা জরুরি। সমস্যা সমাধানে আইইএফ ৮টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে, গ্যাস বিক্রি করে সরকারি মুনাফা না করা।

এলএনজি আমদানি থেকে শুল্ক-কর প্রত্যাহার করা। গ্যাসের ওপর চাপ কমানোর জন্য শিল্পে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের সার্বিক সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।