ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

গোয়াল ঘরে নারীর সঙ্গে এএসআই, গ্রামের ১৩ জন কারাগারে

  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে আটক ও মারধরের মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এরা হলেন- উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে জহুরুল হক (২৫), কপিল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭), বদিউজ্জামানের ছেলে সুমন মিয়া (৩৯), মহির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪৮), খয়বর হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (৪০), আমজাদ হোসেন (৩৮), কবির উদ্দিনের ছেলে মুকুল মিয়া (২৩) বকুল মিয়া (২০), রাজু মিয়া (৩৭), আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪২), আশরাফুলের ছেলে শাহজাহান সিদ্দিক (৩৩) পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আজিজুর রহমান (৩৮) ও গাইবান্ধা সদরের ফারাজি পাড়ার আফসার আলীর ছেলে নাজমুল হক (৩৭)।
জানা যায়, গত শুক্রবার ( ২৯ অক্টোবর) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে একটি মামলার বাদী মৌসুমি আকতারের বাড়ি যান কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেন। পরে বাদীর অভিযোগ শুনে ফেরার সময় বাদী মৌসুমির ভাসুর মাসুদ এএসআই তোফাজ্জলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় চিৎকার দিয়ে মাসুদ এলাকাবাসীকে একত্র করে তোফাজ্জলকে আটক করান। এরপর মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তোফাজ্জলকে বাড়ির উঠানের আমগাছে বেঁধে মারধর করাসহ তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ধর্মপুর গ্রামের মাসুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেন তারা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গোয়াল ঘরে নারীর সঙ্গে এএসআই, গ্রামের ১৩ জন কারাগারে

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে আটক ও মারধরের মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার (৩১ অক্টোবর) রাতে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে তাদের গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এরা হলেন- উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে জহুরুল হক (২৫), কপিল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭), বদিউজ্জামানের ছেলে সুমন মিয়া (৩৯), মহির উদ্দিনের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৪৮), খয়বর হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (৪০), আমজাদ হোসেন (৩৮), কবির উদ্দিনের ছেলে মুকুল মিয়া (২৩) বকুল মিয়া (২০), রাজু মিয়া (৩৭), আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৪২), আশরাফুলের ছেলে শাহজাহান সিদ্দিক (৩৩) পাঁচগাছি শান্তিরাম গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আজিজুর রহমান (৩৮) ও গাইবান্ধা সদরের ফারাজি পাড়ার আফসার আলীর ছেলে নাজমুল হক (৩৭)।
জানা যায়, গত শুক্রবার ( ২৯ অক্টোবর) রাতে সাড়ে ৮টার দিকে একটি মামলার বাদী মৌসুমি আকতারের বাড়ি যান কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেন। পরে বাদীর অভিযোগ শুনে ফেরার সময় বাদী মৌসুমির ভাসুর মাসুদ এএসআই তোফাজ্জলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় চিৎকার দিয়ে মাসুদ এলাকাবাসীকে একত্র করে তোফাজ্জলকে আটক করান। এরপর মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে তোফাজ্জলকে বাড়ির উঠানের আমগাছে বেঁধে মারধর করাসহ তার পকেটে থাকা নগদ টাকা ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ধর্মপুর গ্রামের মাসুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে ২০ জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ছড়ারপাতা গ্রামের এক সৌদিপ্রবাসীর বাড়িতে যান তোফাজ্জল। কিছু সময় পর ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গোয়ালঘরে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তোফাজ্জলকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেন তারা।