আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে তীব্র সংকটের মধ্যে দিন কাটছে আফগানিস্তানে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেনাদের সর্বোচ্চ পদধারী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি। স্থানীয় সময় গত শনিবার তিনি এমন ইঙ্গিত দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রাজধানী কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এলেও সংঘাত থামেনি। দেশটির পানশির প্রদেশে বিরোধীদের সঙ্গে তালেবানের তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে বহু হতাহতের দাবি করেছে তালেবান ও বিরোধীরা। পাশাপাশি ভেঙে পড়তে চলেছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি। দেশটির ব্যাংকগুলো এখন প্রায় অর্থশূন্য। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন আর্থিক সহায়তাও। এর মধ্যে কাবুল, হেরাতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অধিকার আদায়ের দাবিতে নেমেছেন আফগান নারীরা। এসব বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তালেবানের হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে মার্ক মিলি বলেন, ‘আমার সামরিক হিসাব–নিকাশ বলছে, পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে।’ গৃহযুদ্ধের জের ধরে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১২, ২৪ অথবা ৩৬ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান হতে পারে।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। ২০০১ সালে তালেবানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো। এর জের ধরে সে বছরই আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা তালেবানের হাতছাড়া হয়। এর দীর্ঘ ২০ বছর পর চলতি বছরের ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা আবার তালেবানের হাতে যায়।
গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান: মার্কিন সেনা কর্মকর্তা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ