কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম সিকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার দুপুরে টায়ার জ্বালিয়ে কক্সবাজার লিংক রোড অবরোধ করেছেন উত্তেজিত নেতাকর্মীরা। তাদের বিক্ষোভের মধ্যে ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে, রাস্তায় আটকা পড়েছে বহু যানবাহন।
জহিরুল ইসলাম সিকদার (৫৩) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষণি মুহুরী পাড়ার জামাল আহমদ সিকদারের ছেলে। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনসারি জানান, গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জহিরুলের।
তার ভাই ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত উল্লাহ সিকদার এ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। আসছে ১১ নভেম্বরের নির্বাচনেও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শুক্রবার রাতে কুদরতের অফিসেই আক্রান্ত হন জহিরুল। শ্রমিকনেতা শফিউল্লাহ বলেন, “শুক্রবার রাতে দুই ভাই কুদরত উল্লাহ ও জহিরুল ইসলাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচনী আলাপ করছিলেন। এ সময় একদল খুনি মটরসাইকেলে এসে তাদের গুলি করে ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কুদরত উল্লাহর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। শনিবার সকালে জহিরুল ইসলামের অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় তাকেও চট্টগ্রাম পাঠানো হয়।” স্বজনদের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালায়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় তার সমর্থক উত্তেজিত নেতাকর্মীরা কক্সবাজার লিংক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এতে এলাকার দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় আটকা পড়ে যানবাহন। শফিউল্লাহ বলেন, জহিরুল ইসলামের লাশ কক্সবাজার আনার প্রক্রিয়া চলছে। জানাজা শেষ করার পর মামলার পাশাপাশি খুনি গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া হবে।
গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু, কক্সবাজারে সড়ক অবরোধ
ট্যাগস :
গুলিতে আহত শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
জনপ্রিয় সংবাদ