ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

গুলশান-বনানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘটনায় উত্তেজনা, সেনা মোতায়েন

  • আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

গুলশান-বনানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাসদস্যদের নিয়োজিত করা হয় -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকে সংশ্লিষ্ট চালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিন দিন ধরে তারা বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করলেও সোমবার কোথাও কোথাও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিন সকাল থেকে গুলশান, বনানী ও আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা চালকরা আগের থেকে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অটোরিকশা চালকরা গুলশান-বনানীর বিভিন্ন সড়কে ও আশপাশের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন। কয়েকটি স্থানে প্যাডেলচালিত রিকশা ও বাইক চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবি সংগৃহীত

অভিযোগ এসেছে, বনানী ১১ নং রোডে দুই জন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে খালের পাশে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তারাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

গুলশান ও বনানীর কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালের দিকে কিছু বিক্ষুব্ধ অটোচালক এসে যেখানে প্যাডেলচালিত রিকশারচালকদের দেখছেন তাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। এ সময় আশপাশে থাকা বাইকরা বাধা দিলে তাদের ওপরও চড়াও হন অটোরিকশাচালকরা

চালকদের দাবি, রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো গুলশান-বনানীতেও তাদের চলাচলের সুযোগ থাকা উচিত। তারা চাইছেন, নিয়মের আওতায় এনে তাদেরকে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে কর্মসংস্থানের পথটি বন্ধ না হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন: রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা আন্দোলন করছেন। কেউ আন্দোলনের ছবি কিংবা ভিডিও করলেই তাকে ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটাও করছেন অটোরিকশা চালকরা। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে চালকদের এই আন্দোলন বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও যারাই তুলতে যান তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করছেন চালকরা। ছবি-ভিডিও করার সময় বনানী ১১ নম্বর রোডের মাথায় কয়েকজনকে লাঠিপেটাও করেছেন রিকশা চালকরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে গুলশান সোসাইটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু সোসাইটির এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি চালকরা। তারা গত কয়েকদিন ধরে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু সোমবার সোসাইটির বাসিন্দারা গুলশানের শেষ মাথায় এবং বনানী এলাকার শুরুর রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছিলেন। এতে চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা বনানী ১১ নম্বর এলাকায় আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তাদের আন্দোলনের ভিডিও এবং ছবি যারাই তুলতে যান তাদেরকেই লাঠিপেটা করেন রিকশাচালকরা। দুপুরে স্থানীয়রা জানান, এখন পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা দুই থেকে তিনজন মোটরসাইকেল চালককে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা বর্তমানে বনানী ১১ নম্বর রোডে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। রিকশা চালকরা কাউকে মারধর করেছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারাই তাদের আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও নেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করছে চালকরা।

প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা গুলশান লেকে: রাজধানীর গুলশান লেকে প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজ থেকে। আরেক রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের পাশ থেকে। সোমবার দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা এই কাজ করেন। বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা বলছিলেন, তাঁরা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে না পারলে অন্যরাও (প্যাডেলচালিত রিকশা) চালাতে পারবেন না। তাই তাঁরা প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা গুলশান লেকে ফেলে দেন।

গুলশান লেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে প্যাডেলচালিত রিকশা -ছবি সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁরা প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল থেকে গুলশানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়। এর আগে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রঙের ও নিবন্ধিত প্যাডেলচালিত রিকশা চলতে পারত গুলশানে। তবে গত কয়েক মাস ধরে বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করলে যানজট ও বিশৃঙ্খলা বাড়ে বলে স্থানীয়রা জানান।

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুলশান-বনানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের ঘটনায় উত্তেজনা, সেনা মোতায়েন

আপডেট সময় : ০১:২১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তের পর থেকে সংশ্লিষ্ট চালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় তিন দিন ধরে তারা বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করলেও সোমবার কোথাও কোথাও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিন সকাল থেকে গুলশান, বনানী ও আশপাশের এলাকায় অটোরিকশা চালকরা আগের থেকে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অটোরিকশা চালকরা গুলশান-বনানীর বিভিন্ন সড়কে ও আশপাশের প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করেন। কয়েকটি স্থানে প্যাডেলচালিত রিকশা ও বাইক চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এসব ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছবি সংগৃহীত

অভিযোগ এসেছে, বনানী ১১ নং রোডে দুই জন প্যাডেলচালিত রিকশাচালককে খালের পাশে ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তারাও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

গুলশান ও বনানীর কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালের দিকে কিছু বিক্ষুব্ধ অটোচালক এসে যেখানে প্যাডেলচালিত রিকশারচালকদের দেখছেন তাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। এ সময় আশপাশে থাকা বাইকরা বাধা দিলে তাদের ওপরও চড়াও হন অটোরিকশাচালকরা

চালকদের দাবি, রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মতো গুলশান-বনানীতেও তাদের চলাচলের সুযোগ থাকা উচিত। তারা চাইছেন, নিয়মের আওতায় এনে তাদেরকে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হোক, যাতে কর্মসংস্থানের পথটি বন্ধ না হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন: রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা আন্দোলন করছেন। কেউ আন্দোলনের ছবি কিংবা ভিডিও করলেই তাকে ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটাও করছেন অটোরিকশা চালকরা। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে চালকদের এই আন্দোলন বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনের ছবি বা ভিডিও যারাই তুলতে যান তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে মারধর করছেন চালকরা। ছবি-ভিডিও করার সময় বনানী ১১ নম্বর রোডের মাথায় কয়েকজনকে লাঠিপেটাও করেছেন রিকশা চালকরা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে গুলশান সোসাইটিতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু সোসাইটির এই সিদ্ধান্ত মেনে নেননি চালকরা। তারা গত কয়েকদিন ধরে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। কিন্তু সোমবার সোসাইটির বাসিন্দারা গুলশানের শেষ মাথায় এবং বনানী এলাকার শুরুর রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করছিলেন। এতে চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা বনানী ১১ নম্বর এলাকায় আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় তাদের আন্দোলনের ভিডিও এবং ছবি যারাই তুলতে যান তাদেরকেই লাঠিপেটা করেন রিকশাচালকরা। দুপুরে স্থানীয়রা জানান, এখন পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা দুই থেকে তিনজন মোটরসাইকেল চালককে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা বর্তমানে বনানী ১১ নম্বর রোডে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। রিকশা চালকরা কাউকে মারধর করেছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারাই তাদের আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও নেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা করছে চালকরা।

প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা গুলশান লেকে: রাজধানীর গুলশান লেকে প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজ থেকে। আরেক রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের পাশ থেকে। সোমবার দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা এই কাজ করেন। বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা বলছিলেন, তাঁরা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে না পারলে অন্যরাও (প্যাডেলচালিত রিকশা) চালাতে পারবেন না। তাই তাঁরা প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা গুলশান লেকে ফেলে দেন।

গুলশান লেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে প্যাডেলচালিত রিকশা -ছবি সংগৃহীত

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁরা প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরিয়ে দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল থেকে গুলশানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করা হয়। এর আগে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট রঙের ও নিবন্ধিত প্যাডেলচালিত রিকশা চলতে পারত গুলশানে। তবে গত কয়েক মাস ধরে বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করলে যানজট ও বিশৃঙ্খলা বাড়ে বলে স্থানীয়রা জানান।

এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যৌথভাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।