ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

গুলশানে ‘মব’ সৃষ্টি করে হামলার পেছনে ওই বাসারই সাবেক তত্ত্বাবধায়ক

  • আপডেট সময় : ০৮:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

জুয়েল খন্দকার, শাকিল আহমেদ ও শাকিল খন্দকার-ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যরাতে ‘মব’ তৈরি করে গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পেছনে ওই ভবনের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের হাত রয়েছে। শাকিল আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি লোক জড়ো করেন এবং বাসাটিতে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে সেখানে তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার (৫ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের এ ঘটনায় ভবনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শাকিল আহমেদ (২৮) ছাড়া জুয়েল খন্দকার (৪৮) এবং তাঁর ছেলে শাকিল খন্দকার (২৪) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি)। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ গুলশান-২ নম্বরে ৮১ নম্বর সড়কের একটি ভবন ঘেরাও করে বলতে থাকেন, সেখানে তানভীর ইমামের কয়েক শ কোটি টাকা রাখা আছে। তাঁরা রাত ১২টার পর ওই ভবনে ঢুকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে একটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তছনছ করেন।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, গুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাতে ‘তল্লাশি’র নামে ২০ থেকে ২৫ জন লোক দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে পড়েন। তাঁরা তল্লাশির অজুহাতে বাসায় ঢুকে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করেন।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান জোনের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে শাকিল খন্দকার, জুয়েল খন্দকার ও শাকিল আহমেদ নামের তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রেস উইং থেকে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকারের (তত্ত্বাবধায়ক) কাজ করতেন। তিনিই মূলত জনতাকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে বাসায় তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়, এর আগে গত পরশু রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মর্মে আবারও সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানাকে জানানো হয়। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানে বদ্ধপরিকর।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

গুলশানে ‘মব’ সৃষ্টি করে হামলার পেছনে ওই বাসারই সাবেক তত্ত্বাবধায়ক

আপডেট সময় : ০৮:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যরাতে ‘মব’ তৈরি করে গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পেছনে ওই ভবনের সাবেক তত্ত্বাবধায়কের হাত রয়েছে। শাকিল আহমেদ নামের ওই ব্যক্তি লোক জড়ো করেন এবং বাসাটিতে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে সেখানে তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বুধবার (৫ মার্চ) এসব তথ্য জানিয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতের এ ঘটনায় ভবনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক শাকিল আহমেদ (২৮) ছাড়া জুয়েল খন্দকার (৪৮) এবং তাঁর ছেলে শাকিল খন্দকার (২৪) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি)। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক মানুষ গুলশান-২ নম্বরে ৮১ নম্বর সড়কের একটি ভবন ঘেরাও করে বলতে থাকেন, সেখানে তানভীর ইমামের কয়েক শ কোটি টাকা রাখা আছে। তাঁরা রাত ১২টার পর ওই ভবনে ঢুকে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে একটি বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তছনছ করেন।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, গুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যরাতে ‘তল্লাশি’র নামে ২০ থেকে ২৫ জন লোক দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে পড়েন। তাঁরা তল্লাশির অজুহাতে বাসায় ঢুকে মালামাল তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করেন।

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গুলশান জোনের পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে শাকিল খন্দকার, জুয়েল খন্দকার ও শাকিল আহমেদ নামের তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রেস উইং থেকে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শাকিল আহমেদ একসময় ওই বাসায় কেয়ারটেকারের (তত্ত্বাবধায়ক) কাজ করতেন। তিনিই মূলত জনতাকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে, এমন তথ্য দিয়ে বাসায় তল্লাশি চালাতে উসকানি দেন।

প্রেস উইং থেকে আরও বলা হয়, এর আগে গত পরশু রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মর্মে আবারও সতর্ক করছে যে কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেন। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী থানাকে জানানো হয়। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানে বদ্ধপরিকর।