ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
গুম দিবস সামনে রেখে ‘মায়ের ডাক’ -এর মানববন্ধন

গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের ১১ দাবি

  • আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

গুম হওয়া ব্যক্তিদের ছবি নিয়ে শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানববন্ধনে আসেন স্বজনরা। মানববন্ধনের আগে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবস সামনে রেখে সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে বিগত সরকারের সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন।
গুমের সব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু করতে হবে, যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত হয়।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি জাতীয় কার্যপ্রক্রিয়া গঠন করতে হবে। যা নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে এবং যার মাধ্যমে নথিপত্র, আটক কেন্দ্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণে পূর্ণ প্রবেশাধিকার থাকবে। গুম ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত আইনি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার যেন নিখোঁজ আত্মীয়ের আর্থিক, সম্পত্তিগত ও ব্যক্তিদের বিষয়াদি পরিচালনার আইনি অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে অভিভাবকত্বের অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত। গুম থেকে বেঁচে ফেরা ও তাদের পরিবারের জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে— যার মধ্যে থাকবে সামাজিক ও আইনি সহায়তা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা নজরদারি থেকে সুরক্ষা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার রোধে অবিলম্বে সংস্কার আনতে হবে। যাতে এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সিভিল সোসাইটির সদস্য ও নিরপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করা হয়। যেসব নিরাপত্তা বাহিনী বারবার গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিলুপ্ত অথবা পুনর্গঠন করতে হবে।
যদি দেশের বিচার ব্যবস্থা পক্ষপাতদুষ্ট বা বাধাগ্রস্ত থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক জবাবদিহির প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে। গুমবিরোধী যেকোনও প্রস্তাবিত আইনকে আন্তর্জাতিক কনভেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে এবং আনুষ্ঠানিক কনভেনশনটি অনুসমর্থন করতে হবে। যারা প্রমাণ নষ্ট করেছে, গোপন আটক কেন্দ্র লুকিয়েছে বা তদন্তে বাধা দিয়েছে, তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং সব কার্যক্রমে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ফরেনসিক, আইনগত ও তদন্ত সংক্রান্ত সক্ষমতা জোরদার করতে হবে। যাতে বিচার প্রমাণ নির্ভর ও ভুক্তভোগী কেন্দ্রিক না হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গুম দিবস সামনে রেখে ‘মায়ের ডাক’ -এর মানববন্ধন

গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের ১১ দাবি

আপডেট সময় : ০৯:২৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবস সামনে রেখে সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে বিগত সরকারের সময়ে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা অংশগ্রহণ করেন।
গুমের সব ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু করতে হবে, যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা নিশ্চিত হয়।

গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি জাতীয় কার্যপ্রক্রিয়া গঠন করতে হবে। যা নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে এবং যার মাধ্যমে নথিপত্র, আটক কেন্দ্র ও সাক্ষ্যপ্রমাণে পূর্ণ প্রবেশাধিকার থাকবে। গুম ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহার এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত আইনি হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার যেন নিখোঁজ আত্মীয়ের আর্থিক, সম্পত্তিগত ও ব্যক্তিদের বিষয়াদি পরিচালনার আইনি অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে অভিভাবকত্বের অধিকার ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত। গুম থেকে বেঁচে ফেরা ও তাদের পরিবারের জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন করতে হবে— যার মধ্যে থাকবে সামাজিক ও আইনি সহায়তা, ভয়ভীতি প্রদর্শন বা নজরদারি থেকে সুরক্ষা।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার রোধে অবিলম্বে সংস্কার আনতে হবে। যাতে এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সিভিল সোসাইটির সদস্য ও নিরপরাধ নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করা হয়। যেসব নিরাপত্তা বাহিনী বারবার গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিলুপ্ত অথবা পুনর্গঠন করতে হবে।
যদি দেশের বিচার ব্যবস্থা পক্ষপাতদুষ্ট বা বাধাগ্রস্ত থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক জবাবদিহির প্রক্রিয়া গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে। গুমবিরোধী যেকোনও প্রস্তাবিত আইনকে আন্তর্জাতিক কনভেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে এবং আনুষ্ঠানিক কনভেনশনটি অনুসমর্থন করতে হবে। যারা প্রমাণ নষ্ট করেছে, গোপন আটক কেন্দ্র লুকিয়েছে বা তদন্তে বাধা দিয়েছে, তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং সব কার্যক্রমে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ফরেনসিক, আইনগত ও তদন্ত সংক্রান্ত সক্ষমতা জোরদার করতে হবে। যাতে বিচার প্রমাণ নির্ভর ও ভুক্তভোগী কেন্দ্রিক না হয়।