ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আইএসপিআর

গুম-খুন-অপরাধে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি নিয়ে সেনাপ্রধান কিছু বলেননি

  • আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) দেওয়ার বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কোনো কিছু উল্লেখ করেননি বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সোমবার (৬ অক্টোবর) আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশে স্টাডি পিরিয়ডের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ আরো উন্নত ও গতিশীল করার উপায় সন্ধানে আয়োজিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপিত হয়।

এ আলোচনায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি (সিআরপিসি) ১২৭-১৩২ ধারা, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়।

আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নিয়োজিত সেনাদল কর্তৃক প্রযোজ্য আইনের ধারা সঠিকভাবে অনুধাবন করে পেশাদারত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সুচারুরূপে পালনে সক্ষম করাই ছিল এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

বিবৃতিত আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে’ মাঠে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তির (ইনডেমনিটি) বিষয়ে কথা উঠে এবং সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরইসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সিআরপিসির অধীনে সরকারি আদেশে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব, দায়িত্বরত এই সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি এরই মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আলোচনার কোনো পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল, বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাডি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।

আইএসপিআর জানায়, একটি অসাধু ও কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।

এমতাবস্থায়, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এসি/আপ্র/০৬/১০/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

আইএসপিআর

গুম-খুন-অপরাধে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি নিয়ে সেনাপ্রধান কিছু বলেননি

আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) দেওয়ার বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কোনো কিছু উল্লেখ করেননি বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

সোমবার (৬ অক্টোবর) আইএসপিআরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশে স্টাডি পিরিয়ডের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যকলাপ আরো উন্নত ও গতিশীল করার উপায় সন্ধানে আয়োজিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মোতায়েন এবং এর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো উপস্থাপিত হয়।

এ আলোচনায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের’ জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশ দণ্ডবিধি (সিআরপিসি) ১২৭-১৩২ ধারা, বর্তমানে সেনাবাহিনীকে প্রদত্ত ‘ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা’ আরোপের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করা হয়।

আইনগত, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নিয়োজিত সেনাদল কর্তৃক প্রযোজ্য আইনের ধারা সঠিকভাবে অনুধাবন করে পেশাদারত্ব ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সুচারুরূপে পালনে সক্ষম করাই ছিল এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

বিবৃতিত আইএসপিআর জানায়, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে’ মাঠে নিয়োজিত সেনাসদস্যদের সিআরপিসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তির (ইনডেমনিটি) বিষয়ে কথা উঠে এবং সেনাপ্রধান আলোচনার অংশ হিসেবে সিআরইসি ১৩২-এ প্রদত্ত দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

সিআরপিসির অধীনে সরকারি আদেশে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যরা প্রদত্ত আইনি বিধান অনুসারে বেআইনি জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করেন। অতএব, দায়িত্বরত এই সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি এরই মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, আলোচনার কোনো পর্যায়েই সেনাপ্রধান গুম-খুন বা অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাউকে দায়মুক্তি (ইনডেমনিটি) দেওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেননি। কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল, বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি অসৎ ও হীন উদ্দেশে বরাবরের মতো এবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্টাডি পিরিয়ডের বিষয়বস্তু ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারিত্ব ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।

আইএসপিআর জানায়, একটি অসাধু ও কুচক্রী মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে যে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন।

এমতাবস্থায়, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকার জন্য জনসাধারণকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এসি/আপ্র/০৬/১০/২০২৫