প্রত্যাশা ডেস্ক: গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থার (এনজিও) আট কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, মালি ও বুরকিনা ফাসোর নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক জান্তা সরকার।
দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রী মাহামাদু সানা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতরা সবাই ইন্টারন্যাশনাল এনজিও সেফটি অরগানাইজেশন (আইএনএসও)এর কর্মী। সংস্থাটি মানবিক সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়তা প্রদান করে।
জানা গেছে, অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে তিন মাসের জন্য সংস্থাটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। সেই সময় সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টরকেও অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
নিরাপত্তা মন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিষেধাজ্ঞার পরও কিছু কর্মী গোপনে তথ্য সংগ্রহ ও বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম বিদেশি শক্তির কাছে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ তথ্য প্রেরণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
তবে আইএনএসও এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন বলেছে। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, তারা যে তথ্য সংগ্রহ করে তা গোপন নয় এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই তা ব্যবহৃত হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, তারা আটকে থাকা সহকর্মীদের নিরাপদ ও দ্রুত মুক্তি নিশ্চিতের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে।
বুরকিনা ফাসো, প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাহেল অঞ্চলের চরমপন্থী সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ২০২২ সালে ইব্রাহিম ট্রায়োরে ক্ষমতা দখলের পর সামরিক জান্তা স্থিতিশীলতার প্রতিশ্রুতি দিলেও বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ৬০ শতাংশেরও কম এলাকায়।
এনজিওগুলো বলছে, জান্তা সরকার সমালোচকদের দমন ও সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দেশজুড়ে জিহাদিবাদী গোষ্ঠী ও সরকারি বাহিনীর অভিযানে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা, বিবিসি
ওআ/আপ্র/০৮/১০/২০২৫