প্রত্যাশা ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ৩২ বছরের মধ্য এ ঘটনার প্রথমবারের মতো ঘটল যে কোনো র্যাংকিংয়ে জায়গা পেল না অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ এ প্রথম তিনে জায়গা পায়নি এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬-এ অক্সফোর্ড প্রথম ও কেমব্রিজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) তালিকার শীর্ষেই আছে। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।
যুক্তরাজ্যর গণমাধ্যমে ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে, যা গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান দুটিকেই সেরা তিনের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। ৩২ বছর ধরে করা এই গুড ইউনিভার্সিটি গাউড প্রথমবার এমনটা হলো যে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ প্রথম তিনে নেই।
গত বছর অক্সফোর্ড ছিল তৃতীয় এবং কেমব্রিজ ছিল চতুর্থ। গত বছরই লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস চতুর্থ স্থান প্রথম স্থানে চলে এসেছিল। গত বছর সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ছিল দ্বিতীয়; যার ফলে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ দুটোই একধাপ নিচে নেমে গিয়েছিল।
পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয়তে উঠে আসা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এবার ‘ইউনিভার্সিটি অব দ্য ইয়ার ২০২৬’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
টাইমস ও সানডে টাইমস গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের সম্পাদক হেলেন ডেভিস বলেন, অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক শীর্ষ দশের তালিকায় ডারহাম এক বছরে দুই ধাপ এগিয়েছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। আর এতেই গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ তিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ ছিটকে পড়েছে।
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে হেলেন ডেভিস বলেন, ‘শিক্ষণের গুণগত মান এবং শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতার উন্নতির ফলে এ বছর প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
টাইমস ১৯৯৩ সাল থেকে এবং সানডে টাইমস ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশ্লেষণভিত্তিক গাইড প্রকাশ করে আসছে। শিক্ষণ মান, শিক্ষার্থী অভিজ্ঞতা, ভর্তি মানদণ্ড, গবেষণার গুণমান, টেকসই উন্নয়ন এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয় এই র্যাঙ্কিং।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যাকাডেমিক কৃতিত্বের জন্য ‘বর্ষসেরা বিশ্ববিদ্যালয়’, রাসেল গ্রুপ বা গবেষণাধর্মী ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ‘বর্ষসেরা বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং স্নাতকদের কর্মসংস্থানের দিক থেকে বর্ষসেরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে যৌথ রানারআপ হয়েছে।
তালিকার সেরা ১০ বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো: প্রথম: লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স
দ্বিতীয়: সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়
তৃতীয়: ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।
চতুর্থ: অক্সফোর্ড
চতুর্থ: কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়
ষষ্ঠ: ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন
সপ্তম: বাথ বিশ্ববিদ্যালয়
অষ্টম: ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়
নবম: ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন
দশম: ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়
অঞ্চলভিত্তিক সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো
লন্ডনে: লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস
উত্তর ও উত্তর-পূর্বে: ডারহাম
পূর্বে: কেমব্রিজ
মিডল্যান্ডসে: ওয়ারউইক
দক্ষিণ-পশ্চিমে: বাথ
দক্ষিণ-পূর্বে: অক্সফোর্ড
উত্তর আয়ারল্যান্ডে: কুইন’স বেলফাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়
গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের সম্পাদক হেলেন ডেভিস বলেন, ‘আমাদের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়ছে, যার ফলে কিছু নিম্ন-মানদণ্ডের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সমস্যায় পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী এখন বাড়ি থেকে যাতায়াত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এ কারণেই এ বছর আমরা প্রতিটি অঞ্চলের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার জন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কৃত করছি।’
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ক্যারেন ও’ব্রায়েন বলেন, ‘ডারহাম পড়াশোনার জন্য একটি চমৎকার স্থান। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে বিকশিত হতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করি।’
এই গাইডের বিস্তারিত ফল প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বরে।
সানা/আপ্র/২০/০৯/২০২৫






















