ঢাকা ০৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

গুচ্ছে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের শীর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

  • আপডেট সময় : ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী আবেদনে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের শীর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২২৫টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেছেন ৬৪৭১ জন ভর্তিচ্ছু। গড়ে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২৯ জন ভর্তিচ্ছু। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায়ও ৩ ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে অবস্থান করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। সমসময়কালীন প্রতিষ্ঠিত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ৩৮৫৫টি। বিডিইউ, ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছে যথাক্রমে ১২৪২ জন, ৫৬৭১ জন, ৪৭০৬ জন। এছাড়াও কনিষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুরে আবেদন পড়েছে ১৮১১টি এবং কিশোরগঞ্জে ১৫৭৬টি। এ ছাড়াও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭১৩ জন ভর্তিচ্ছু বেশি আবেদন করেছে। এবারের সমন্বিত আবেদনে বিগত বছরের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদন কমেছে কয়েকগুণ। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সবচেয়ে বেশি আবেদন ছিল নোবিপ্রবিতে ৬৮১৪২টি; যা এবার মাত্র ২০০৮০টি। যা প্রায় ৭০.৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে জবিতে ৩১ শতাংশ, ইবিতে ৩৬, শাবিতে ৪০ শতাংশ আবেদন কমেছে। সে তুলনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন কমেছে মাত্র ১১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, আবেদনের সংখ্যানুসারে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় গত বছর নবীন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮তম, যেখানে এবার শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৩ ধাপ এগিয়ে ১৫তম অবস্থান অর্জন করেছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৬৯ পাওয়া আতিকা আক্তার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের বিষয়ে জানায়, এবারের ওয়েবম্যাট্রিক্স র‌্যাংকিং অনুসারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হয়েও পড়াশোনার দিক থেকে অনেকটা অগ্রগতি লাভ করেছে। তাই এই অগ্রগতির সামিল হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম জানান, ২০২৩ সালের ওয়েবম্যাট্রিক্স র‌্যাংকিং অনুসারে গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই তালিকার শীর্ষে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরলস পরিশ্রম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক বিনিময় ও বোঝাপড়া ও তাদের সৃজনশীল প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিয়ত অগ্রগতি লাভ করছে। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগসাধনে আমরা তৎপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা অংশীজন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনসহ সবার নিরলস প্রচেষ্টার এটি একটি প্রকাশ। একটি পরিণত বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আমরাও ঠিক সেভাবে কাজ করছি। সংস্কৃতি চর্চা ও লালন আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। আউটকাম বেজড পাঠক্রম, সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম, দেশি-বিদেশি গবেষকদের মধ্যে বিনিময়ের জন্য কনফারেন্সের আয়োজন প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল শিক্ষা পরিবেশ তৈরিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গুচ্ছে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের শীর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

আপডেট সময় : ১০:৩২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক: ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী আবেদনে নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ভর্তিচ্ছুদের পছন্দের শীর্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বিগত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২২৫টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন করেছেন ৬৪৭১ জন ভর্তিচ্ছু। গড়ে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে ২৯ জন ভর্তিচ্ছু। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায়ও ৩ ধাপ এগিয়ে ১৫তম স্থানে অবস্থান করছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। সমসময়কালীন প্রতিষ্ঠিত রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন পড়েছে ৩৮৫৫টি। বিডিইউ, ফজিলাতুন্নেছা ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করেছে যথাক্রমে ১২৪২ জন, ৫৬৭১ জন, ৪৭০৬ জন। এছাড়াও কনিষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয় চাঁদপুরে আবেদন পড়েছে ১৮১১টি এবং কিশোরগঞ্জে ১৫৭৬টি। এ ছাড়াও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭১৩ জন ভর্তিচ্ছু বেশি আবেদন করেছে। এবারের সমন্বিত আবেদনে বিগত বছরের তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আবেদন কমেছে কয়েকগুণ। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সবচেয়ে বেশি আবেদন ছিল নোবিপ্রবিতে ৬৮১৪২টি; যা এবার মাত্র ২০০৮০টি। যা প্রায় ৭০.৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে জবিতে ৩১ শতাংশ, ইবিতে ৩৬, শাবিতে ৪০ শতাংশ আবেদন কমেছে। সে তুলনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন কমেছে মাত্র ১১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, আবেদনের সংখ্যানুসারে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় গত বছর নবীন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ছিল ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৮তম, যেখানে এবার শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৩ ধাপ এগিয়ে ১৫তম অবস্থান অর্জন করেছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৬৯ পাওয়া আতিকা আক্তার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের বিষয়ে জানায়, এবারের ওয়েবম্যাট্রিক্স র‌্যাংকিং অনুসারে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হয়েও পড়াশোনার দিক থেকে অনেকটা অগ্রগতি লাভ করেছে। তাই এই অগ্রগতির সামিল হয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম জানান, ২০২৩ সালের ওয়েবম্যাট্রিক্স র‌্যাংকিং অনুসারে গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই তালিকার শীর্ষে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের নিরলস পরিশ্রম, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক বিনিময় ও বোঝাপড়া ও তাদের সৃজনশীল প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিয়ত অগ্রগতি লাভ করছে। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির যোগসাধনে আমরা তৎপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা অংশীজন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনসহ সবার নিরলস প্রচেষ্টার এটি একটি প্রকাশ। একটি পরিণত বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আমরাও ঠিক সেভাবে কাজ করছি। সংস্কৃতি চর্চা ও লালন আমাদের অন্যতম অঙ্গীকার। আউটকাম বেজড পাঠক্রম, সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রম, দেশি-বিদেশি গবেষকদের মধ্যে বিনিময়ের জন্য কনফারেন্সের আয়োজন প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীল শিক্ষা পরিবেশ তৈরিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।