প্রত্যাশা ডেস্ক : আদি নিবাস যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু সন্ধান মিলেছে যুক্তরাজ্যে। সম্প্রতি এক ভ্রমণকারীর স্যুটকেসে চেপে উড়োজাহাজে পাড়ি দিয়েছে সাত হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব। এই পথ পাড়ি দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যে চলে এসেছে একটি গিরগিটি।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় বেড়াতে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নাগরিক র্যাচেল বন্ড। গত সপ্তাহে ভ্রমণ শেষে যুক্তরাজ্যের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর হুইটলি বের বাড়িতে ফেরেন ৫৪ বছর বয়সী এই নারী। বাড়িতে এসে স্যুটকেস খালি করছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎই র্যাচেলের মা মেঝেতে একটি গিরগিটি দেখতে পান।
বিবিসিকে র্যাচেল বলেন, ‘সবুজ রঙের ওই গিরিগিটি দ্রুত মায়ের শোবার ঘরে ঢুকে পড়ে। যদিও আমি সেটাকে দেখতে পাইনি, মা দেখেছিলেন। তিনি ওটাকে খুঁজে বের করতে বলেন। কারণ, তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। পরে মায়ের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বালিশের নিচে ওই গিরগিটির সন্ধান মেলে।’
সবুজ রঙের এমন গিরগিটি ফ্লোরিডা ও এর আশপাশের এলাকায় এবং ক্যারিবীয় দেশগুলোয় দেখতে পাওয়া যায়। তবে কখন এটা তাঁর স্যুটকেসে ঢুকেছে, তা বলতে পারছেন না র্যাচেল। স্যুটকেসে চেপে প্রাণীটি দিব্যি আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছে। প্রায় ৭ হাজার ২৫০ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করে নিরাপদে র্যাচেলের বাড়িতে পৌঁছেছে। এমনকি দীর্ঘ এই ভ্রমণে র্যাচেলকে বিরক্তও করেনি প্রাণীটি।
পরে খুঁজে পেয়ে প্রাণীটিকে যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংগঠন রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমেলের (আরএসপিসিএ) সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, ওই গিরগিটিকে হয়তো সেটির আদি নিবাসে ফেরত পাঠানো কঠিন হয়ে যাবে। এখন সেটাকে যুক্তরাজ্যের কোনো একটি চিড়িয়াখানায় রাখা হবে। এ বিষয়ে র্যাচেল বলেন, ‘গিরগিটিটির জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। এটি ফ্লোরিডার সুন্দর ও উষ্ণ আবহাওয়া ছেড়ে শীতপ্রধান এই এলাকায় এসে পড়েছে।’ তবে আরএসপিসিএর পরিদর্শক লুসি গ্রিন বলেন, ‘প্রাণীটি খুবই ভাগ্যবান। স্যুটকেসে চেপে এত দীর্ঘ ভ্রমণ করেও সেটি দিব্যি বেঁচে আছে।’
গিরগিটির আটলান্টিক পাড়ি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ