ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

গায়েব হয়নি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, আছে এয়ারলাইন্সের হেফাজতে

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েব হয়েছে-এমন খবর গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তবে এমন খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে খোদ এয়ারলাইন্সটি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন তাদের নিজস্ব হেফাজতে রয়েছে।
সমালোচনার মুখে পড়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বলছে— খবরটি অসত্য, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার খবরে বলা হয়— বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েব হয়ে গেছে।
সংরক্ষিত এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিভিটিভি) ফুটেজ বিশ্লেষণসহ নানাভাবে অনুসন্ধান করেও গায়েব হওয়া ইঞ্জিনের হদিস পাওয়া পায়নি। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা করে নেতিবাচক মন্তব্য করেন নেটিজেনরা।
ইউনাইটেড এয়ার ২০১৬ সালে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে পড়ে আছে তাদের ৯টি উড়োজাহাজ। সম্প্রতি এয়ারলাইন্সটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন করে অপারেশনে আসার চেষ্টাও চলছে। ইঞ্জিন চুরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ প্রকাশ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, আমাদের উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরি হলো অথচ আমরা জানি না। আমরা কোথাও ইঞ্জিন চুরির অভিযোগ করিনি। আমাদের ইঞ্জিন আমাদের হেফাজতেই আছে।
সূত্র জানায়, মেরামতের জন্য উড়োজাহাজ থেকে ইঞ্জিন খুলে রেখেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। সেসব ইঞ্জিন এয়ারলাইনের হেফাজতে রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘প্রথমত উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এয়ারলাইন্সকেই নিতে হবে। তবে বিমানবন্দর থেকে ইঞ্জিন চুরি হওয়া কোনও অবস্থাতে সম্ভব নয়। একটি ইঞ্জিন এত ছোট নয় যে, কেউ লুকিয়ে নিতে পারবে। আর কোনও এয়ারলাইন্স আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগও করেনি। ফলে একটি ভুল তথ্য মানুষকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিভ্রান্ত করছে।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গায়েব হয়নি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, আছে এয়ারলাইন্সের হেফাজতে

আপডেট সময় : ০১:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েব হয়েছে-এমন খবর গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন উঠছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। তবে এমন খবরে বিস্ময় প্রকাশ করেছে খোদ এয়ারলাইন্সটি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন তাদের নিজস্ব হেফাজতে রয়েছে।
সমালোচনার মুখে পড়ে বিব্রত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বলছে— খবরটি অসত্য, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার খবরে বলা হয়— বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন গায়েব হয়ে গেছে।
সংরক্ষিত এলাকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিভিটিভি) ফুটেজ বিশ্লেষণসহ নানাভাবে অনুসন্ধান করেও গায়েব হওয়া ইঞ্জিনের হদিস পাওয়া পায়নি। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিমানবন্দরের নিরপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা করে নেতিবাচক মন্তব্য করেন নেটিজেনরা।
ইউনাইটেড এয়ার ২০১৬ সালে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ঢাকায় বিমানবন্দরে পড়ে আছে তাদের ৯টি উড়োজাহাজ। সম্প্রতি এয়ারলাইন্সটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। নতুন করে অপারেশনে আসার চেষ্টাও চলছে। ইঞ্জিন চুরি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ প্রকাশ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থার শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, আমাদের উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চুরি হলো অথচ আমরা জানি না। আমরা কোথাও ইঞ্জিন চুরির অভিযোগ করিনি। আমাদের ইঞ্জিন আমাদের হেফাজতেই আছে।
সূত্র জানায়, মেরামতের জন্য উড়োজাহাজ থেকে ইঞ্জিন খুলে রেখেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। সেসব ইঞ্জিন এয়ারলাইনের হেফাজতে রয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘প্রথমত উড়োজাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এয়ারলাইন্সকেই নিতে হবে। তবে বিমানবন্দর থেকে ইঞ্জিন চুরি হওয়া কোনও অবস্থাতে সম্ভব নয়। একটি ইঞ্জিন এত ছোট নয় যে, কেউ লুকিয়ে নিতে পারবে। আর কোনও এয়ারলাইন্স আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও অভিযোগও করেনি। ফলে একটি ভুল তথ্য মানুষকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিভ্রান্ত করছে।’