নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা গাড়ি চুরি ও ছিনতাই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রীবেশে গাড়িতে উঠতেন। পরে চালকদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি পান করে কিংবা জোরে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রফিকুল ইসলাম, মো. বাহাদুর ইসলাম, মো. মশিউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. তরিকুল ইসলাম ও তাফসির উদ্দিন।
শুক্র ও শনিবার ঢাকা, গাজীপুর, যশোর, নরসিংদী ও গোপালগঞ্জে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত দুটি প্রাইভেটকার, আটটি মোটরসাইকেল ও চারটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস ঢাকা টাইমসকে জানান, কোতয়ালী থানা ও ধানমন্ডি থানায় চুরির মামলা তদন্তকালে এই চোর ও ছিনতাই চক্রের সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল ও বাহাদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে কেরানীগঞ্জ থেকে একটি চোরাই প্রোবক্স প্রাইভেটকার ও একটি মোটরসাইকেল এবং গাজীপুর জেলা থেকে একটি প্রোবক্স প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
মধুসূদন দাস জানান, চলমান অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে যশোর জেলা থেকে এই চক্রের সদস্য মশিউর, শহিদুল ও তরিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের চোরাই মালামালের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মালামালগুলো গোপালগঞ্জে আছে বলে স্বীকার করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে তাফসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে সাতটি মোটরসাইকেল ও নরসিংদী জেলা থেকে চারটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা যাত্রী বেশে গাড়িতে উঠে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সুকৌশলে ড্রাইভারকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অথবা জোর করে গাড়ি ছিনিয়ে নিতো। কখনো পার্কিং করা গাড়ি মাস্টার কি দিয়ে খুলে চুরি করত। প্রাইভেটকার চুরির পরে এগুলো আবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চুরির জন্য ব্যবহার করত। মোটরসাইকেল চুরি করার পর তারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠিয়ে দেয়। ফরে উদ্ধার করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ডিএমপির কোতয়ালী ও ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ছয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গাড়ি ছিনতাই তাদের পেশা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ





















