ঢাকা ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

গাড়ি চুরির পর ফোন, টাকা না পেলে যন্ত্রাংশ বিক্রি

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তারা গাড়ি চুরির একটি সংঘবদ্ধ চক্র। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি চুরির পর মালিককে ফোন করে মোটা অংকের টাকা চাইতো। টাকা পেলে গাড়ি ফিরিয়ে দিতো। আর না পেলে গাড়ির যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রি করে দিতো। এই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। তাদের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গতকাল সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানী তুরাগ থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোরাকারবারি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাইকৃত পিকআপ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন মো. শরিফ ও মো. নাজমুল হোসেন। র‌্যাব জানায়, একটি গাড়ি চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চুরি করে আসছে। তারা চুরি করা গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করত। সেই টাকা না দিলে তারা গাড়ির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে খুচরা দামে বিক্রি করে দিত।
গত রোববার এক ভুক্তভোগী র‌্যাব-৪ এর কাছে তার গাড়ি চুরি যাওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন। তখন র‌্যাব-৪ তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত করে। ওইদিন বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে তুরাগ থানার বাউনিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে একটি চোরাইকৃত পিকআপসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, আটককৃতরা তাদের নাম-ঠিকানাসহ পলাতক সহযোগীদের নাম-ঠিকানা জানিয়েছে। আটক আসামিরা পলাতক আসামিদের সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পনা মতো পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যান চুরি করে নিজেদের দখলে রাখে। পরে গাড়ির মালিকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের কাছে বিকাশ ও নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করতো। কেউ টাকা দিতে না চাইলে আটককৃতরা তাদের চুরিকৃত গাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ খুলে তা বিভিন্ন মটরসের দোকানে খুচরা মূল্যে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিতো। র‌্যাব জানায়, আটককৃতরা এবং পলাতক অন্য সহযোগীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য পিকআপ ভ্যান গাড়ি চুরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করতো। এই চক্রের আরও অনেক সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাড়ি চুরির পর ফোন, টাকা না পেলে যন্ত্রাংশ বিক্রি

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : তারা গাড়ি চুরির একটি সংঘবদ্ধ চক্র। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি চুরির পর মালিককে ফোন করে মোটা অংকের টাকা চাইতো। টাকা পেলে গাড়ি ফিরিয়ে দিতো। আর না পেলে গাড়ির যন্ত্রাংশ খুচরা বিক্রি করে দিতো। এই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। তাদের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গতকাল সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজধানী তুরাগ থানা এলাকা থেকে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোরাকারবারি চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি চোরাইকৃত পিকআপ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন মো. শরিফ ও মো. নাজমুল হোসেন। র‌্যাব জানায়, একটি গাড়ি চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চুরি করে আসছে। তারা চুরি করা গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করত। সেই টাকা না দিলে তারা গাড়ির প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে খুচরা দামে বিক্রি করে দিত।
গত রোববার এক ভুক্তভোগী র‌্যাব-৪ এর কাছে তার গাড়ি চুরি যাওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ করেন। তখন র‌্যাব-৪ তার অভিযোগটি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত করে। ওইদিন বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে তুরাগ থানার বাউনিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে একটি চোরাইকৃত পিকআপসহ দুজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, আটককৃতরা তাদের নাম-ঠিকানাসহ পলাতক সহযোগীদের নাম-ঠিকানা জানিয়েছে। আটক আসামিরা পলাতক আসামিদের সহায়তায় পূর্ব পরিকল্পনা মতো পরস্পর যোগসাজশে ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যান চুরি করে নিজেদের দখলে রাখে। পরে গাড়ির মালিকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাদের কাছে বিকাশ ও নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা দাবি করতো। কেউ টাকা দিতে না চাইলে আটককৃতরা তাদের চুরিকৃত গাড়ির বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ খুলে তা বিভিন্ন মটরসের দোকানে খুচরা মূল্যে অবৈধভাবে বিক্রি করে দিতো। র‌্যাব জানায়, আটককৃতরা এবং পলাতক অন্য সহযোগীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য পিকআপ ভ্যান গাড়ি চুরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করতো। এই চক্রের আরও অনেক সদস্য পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।