ঢাকা ০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

গান সরিয়ে প্রতিবাদে ‘পিংক ফ্লয়েড’

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়া ও বেলারুশের সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের সব গান সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিল পিংক ফ্লয়েড।
জনপ্রিয় এই ইংলিশ রক ব্যান্ড দল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিবৃতিটি ‘পিংক ফ্লয়েড’র টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছে। পিংক ফ্লয়েডের দলনেতা গিটারিস্ট ডেভিড গিলমোরও তাদের সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে। পিংক ফ্লয়েড জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযানের নিন্দা জানাচ্ছে, যে অভিযানে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেলারুশ।
১৯৮৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ব্যান্ডটির প্রকাশিত যত গান রাশিয়া ও বেলারুশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে, সব সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ডেভিড গিলমোরের একক গানের সব রেকর্ডও রাশিয়া ও বেলারুশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পিংক ফ্লয়েডের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। মূলত প্রোগ্রেসিভ রক, সাইকাডেলিক রক ও ব্লুজ রক ঘরানার গান করে ব্যান্ডটি। গিলমোর ব্যান্ডে যোগ দেন প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর। ১৯৮৫ তে রজার ওয়ার্টের প্রয়াণের পর থেকে গিলমোর দলের নেতা। তবে ওই সময়ের আগের রেকর্ড করা গানগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার নেই। তাই ডিজিটাল প্ল্যাফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পিংক ফ্লয়েডের শেষ তিনটি অ্যালবাম ‘মোমেন্টারি ল্যাপস অফ রিজন’ (১৯৮৭) এবং ‘দ্য ডিভিশন বেল’ (১৯৯৪) এবং সেইসাথে সংকলন ‘দ্য এন্ডলেস রিভার’। তবে ব্যান্ডের আগের অ্যালবামগুলি যেমন ‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ এবং ‘দ্য ওয়াল’ পাওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্যেরে লেবার পার্টির সক্রিয় সমর্থক গিলমোর পশু অধিকার, পরিবেশ সংরক্ষণ, মানবাধিকার নিয়েও সোচ্চার। মার্চে গিলমো টুইট করেছিলেন যে, তার ইউক্রেনীয় পুত্রবধূ রুশ সেনাদের প্রতি আহ্বান রেখেছেন তারা যেন ‘সব ধ্বংস হওয়ার আগে যুদ্ধ বন্ধ করে’, সঙ্গে এও বলেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনবে অবশ্যই এসব থেকে ‘সরে যেতেই’ হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসী প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযানের নিন্দা ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আনে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র জোটেরা। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পথ অনুসরণ করেছে।আন্তর্জাতিক খেলা থেকে রুশ খেলোয়ারদের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নানা বিভিন্ন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার রাস্তা বন্ধ হয়েছে রাশিয়ার জন্য।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গান সরিয়ে প্রতিবাদে ‘পিংক ফ্লয়েড’

আপডেট সময় : ০২:০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইউক্রেইনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়া ও বেলারুশের সব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেদের সব গান সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিল পিংক ফ্লয়েড।
জনপ্রিয় এই ইংলিশ রক ব্যান্ড দল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিবৃতিটি ‘পিংক ফ্লয়েড’র টুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশিত হয়েছে। পিংক ফ্লয়েডের দলনেতা গিটারিস্ট ডেভিড গিলমোরও তাদের সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে। পিংক ফ্লয়েড জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযানের নিন্দা জানাচ্ছে, যে অভিযানে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেলারুশ।
১৯৮৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ব্যান্ডটির প্রকাশিত যত গান রাশিয়া ও বেলারুশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে, সব সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ডেভিড গিলমোরের একক গানের সব রেকর্ডও রাশিয়া ও বেলারুশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পিংক ফ্লয়েডের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। মূলত প্রোগ্রেসিভ রক, সাইকাডেলিক রক ও ব্লুজ রক ঘরানার গান করে ব্যান্ডটি। গিলমোর ব্যান্ডে যোগ দেন প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর। ১৯৮৫ তে রজার ওয়ার্টের প্রয়াণের পর থেকে গিলমোর দলের নেতা। তবে ওই সময়ের আগের রেকর্ড করা গানগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার নেই। তাই ডিজিটাল প্ল্যাফর্ম থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে পিংক ফ্লয়েডের শেষ তিনটি অ্যালবাম ‘মোমেন্টারি ল্যাপস অফ রিজন’ (১৯৮৭) এবং ‘দ্য ডিভিশন বেল’ (১৯৯৪) এবং সেইসাথে সংকলন ‘দ্য এন্ডলেস রিভার’। তবে ব্যান্ডের আগের অ্যালবামগুলি যেমন ‘ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন’ এবং ‘দ্য ওয়াল’ পাওয়া যাবে।
যুক্তরাজ্যেরে লেবার পার্টির সক্রিয় সমর্থক গিলমোর পশু অধিকার, পরিবেশ সংরক্ষণ, মানবাধিকার নিয়েও সোচ্চার। মার্চে গিলমো টুইট করেছিলেন যে, তার ইউক্রেনীয় পুত্রবধূ রুশ সেনাদের প্রতি আহ্বান রেখেছেন তারা যেন ‘সব ধ্বংস হওয়ার আগে যুদ্ধ বন্ধ করে’, সঙ্গে এও বলেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনবে অবশ্যই এসব থেকে ‘সরে যেতেই’ হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আগ্রাসী প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেইনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযানের নিন্দা ও ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আনে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র জোটেরা। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পথ অনুসরণ করেছে।আন্তর্জাতিক খেলা থেকে রুশ খেলোয়ারদের নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নানা বিভিন্ন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার রাস্তা বন্ধ হয়েছে রাশিয়ার জন্য।