বিনোদন ডেস্ক: দেশকে নিয়ে বাংলার কবিদের লেখা গানে বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয় সংগঠনটির ‘সকলে মিলে দেশ-গান গাইবার, দেশ-কথা বলবার’ সপ্তম অধিবেশন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের মাহেন্দ্রক্ষণ বিকাল সাড়ে ৪টায় সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সমাপ্তি টানা হয় অনুষ্ঠানের। ‘আমাদের এই পতাকা’ শিরোনামে এ আয়োজন উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় সেখানে দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান এবং ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা উপস্থিত ছিলেন। এবারের অনুষ্ঠান সাজানো হয় নৃত্যসহ আটটি সম্মেলক গান, একটি একক গান (জীবন আমার ধন্য যে হায়) এবং একটি পাঠ যোগে। সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্য নাটকের নির্বাচিত অংশ উপস্থাপন করেন ত্রপা মজুমদার, একক গান পরিবেশন করেন আবুল কালাম আজাদ। দেশের গানগুলো বেছে নেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, গোবিন্দ হালদার, আবদুল লতিফ, মোহাম্মদ মোশাদ আলী, গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও গুরু সদয় দত্তের রচনা থেকে।
নৃত্য পরিবেশিত হয় ‘ও আমার দেশের মাটি, তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা’, ‘আজি রক্ত নিশি ভোরে’, ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘এই না বাংলাদেশের গান গাইতে রে দয়াল’, ‘লাখো লাখো শহীদের রক্তমাখা’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘আরে ভালো ভালো ভালোরে ভাই’ এবং ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানের সঙ্গে। ছায়ানটের শিল্পী-শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে এবারের আয়োজনে যুক্ত ছিল-থার্টিন হুসার্স ওপেন স্কাউট গ্রুপ, ব্রতচারী, আজিমপুর গার্লস হাইস্কুল, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ, নালন্দা বিদ্যালয় ও সানিডেল।
গানে গানে বিজয় দিবস উদ্যাপন ছায়ানটের
ট্যাগস :
গানে গানে বিজয় দিবস উদ্যাপন ছায়ানটের
জনপ্রিয় সংবাদ