প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সড়ক আটকে ডাকাতির সময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত (১৯ জুন) গভীর রাত ৩টার দিকে মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়কের সাতখামাইর বাজার মাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান। পুলিশ দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে কুমিল্লা জেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (২২) ডাকাতদলের সদস্য এবং শ্রীপুরের টেপিরবাড়ি গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৪০) পেশায় অটোরিকশাচালক। আটক চারজনও ডাকাত দলের সদস্য। তবে তাদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী পিকআপ চালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি শ্রীপুরের এমসি বাজার থেকে পিকআপ নিয়ে বরমীর দিকে যাচ্ছিলেন। সাতখামাইর বাজারের কাছে মাজার এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ছয় থেকে সাতজনের ডাকাতদল তার গাড়ির গতিরোধ করে। তারা মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায়। তিনি বলেন, একই সময় ওই সড়কে অন্য গাড়িতে ডাকাতি হচ্ছিল। এ সময় দ্রুত গতির একটি অটোরিকশার ধাক্কায় ডাকাতদলের এক সদস্য আহত হয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা অটোরিকশার চালককে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে ডাকাতের কবলে পড়া লোকজন মিলে চিৎকার শুরু করে। তখন এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের প্রতিরোধ করে। এ সময় অটোরিকশার ধাক্কায় আহত ডাকাতদলের সদস্যকে গ্রামবাসী ব্যাপক পিটুনি দেয়।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের টহল দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তারা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ডাকাত দলের চার সদস্যকে আটক করে। তিনি বলেন, পরে আহত ডাকাতদলের সদস্য আরিফ এবং অটোরিকশার চালক কালামকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন এবং কালামকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে কালাম মারা যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।