ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

গাজীপুরে ভোট কাল

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল ২৫ মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। এ জন্য যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে আজ রাত থেকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হচ্ছে। সম্প্রতি বিআরটিএর উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. হেমায়েত উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৪ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৫ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক আপ, কার এবং ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। একইসঙ্গে ২৩ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। আরও বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতি প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয় পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী নৌকার আজমত: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক’ হবে এবং তাতে ভোটার উপস্থিতিও ‘আশানুরূপ’ থাকবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ভোটের প্রচারের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। “এবং আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, নির্বাচনে মানুষ তাদের মনের মতো প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য তারা উৎসুক হয়ে আছে এবং ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই আশানুরূপ হবে।”
ঢাকার লাগোয়া এ সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দেবেন পৌনে ১২ লাখের বেশি ভোটার। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। আজমত উল্লা খানসহ পাঁচ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের সঙ্গে ৫৭টি ওয়ার্ডে ২৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৯ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় রয়েছেন। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে দলটির কর্মী সরকার শাহনূর ইসলাম (রনি সরকার) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, প্রতীক পেয়েছেন হাতি। অন্যদিকে, দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে মেয়র নির্বাচিত জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। নৌকা প্রতীকে লড়ার জন্য মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হওয়ার অভিযোগে তা আটকে গেলে এখন মাকে জেতাতে তৎপর তিনি। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বহিষ্কৃত হয়েছেন জাহাঙ্গীর; মায়ের নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার অভিযোগ করে আসছেন তিনি।
মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন চাইছেন তারা। জমজমাট মাইকিংয়ের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার আর ব্যানারে।
এদিন সকালে টঙ্গী বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। মধ্যরাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচারের সময় থাকলেও এদিন মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকার কথা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন আজমত উল্লা। তিনি বলেন, “নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা যে নির্বাচনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি যে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এই জিনিসটি প্রমাণিত হবে আগামী পরশু দিনের নির্বাচনে। এটাই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ।” ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, “আশাব্যঞ্জক সাড়া আমরা পাচ্ছি। “আমরা আশা করি যে, আগামী পরশু দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে মানুষের দীর্ঘদিনের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাঠে যে অবস্থা বিরাজমান, মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে, যেভাবে তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছে, সুতরাং ইনশা আল্লাহ, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।” ভোটের মাঠে ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা পাওয়ার কথা বলে আসছেন আজমত উল্লা খানের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদা ও রনি সরকার। এজেন্টদেরকে হুমকি-ধামকির অভিযোগও করছেন তারা। এজেন্টদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে আজমত বলেন, “হয়রানির কোনো ডকুমেন্ট আছে? বললে তো হবে না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জন কথা বলবে।
“কোনো এজেন্ট দেওয়ার পরেৃ এটা পরে বলতে পারে যে, আমাদের এজেন্ট আমরা দিতে পারি নাই। (এজেন্ট) দিতে পারবে কি-না, সেটাতো তাদের জনসমর্থনের উপর নির্ভর করে। এজেন্টদের কোথায় হয়রানিটা করা হচ্ছে? আমার পক্ষ থেকে, আমার দলের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো হয়রানি করা হয় নাই এবং এটা হবেও না।“

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে ভোট কাল

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল ২৫ মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। এ জন্য যানবাহন চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে আজ রাত থেকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হচ্ছে। সম্প্রতি বিআরটিএর উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. হেমায়েত উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ২৪ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৫ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক আপ, কার এবং ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। একইসঙ্গে ২৩ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৬ মে মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। আরও বলা হয়, এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতি প্রার্থী তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয় পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর, জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারবেন।
ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশাবাদী নৌকার আজমত: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচন ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক’ হবে এবং তাতে ভোটার উপস্থিতিও ‘আশানুরূপ’ থাকবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ভোটের প্রচারের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী বলেন, “নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। “এবং আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, নির্বাচনে মানুষ তাদের মনের মতো প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার জন্য তারা উৎসুক হয়ে আছে এবং ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই আশানুরূপ হবে।”
ঢাকার লাগোয়া এ সিটি করপোরেশনের নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভোট দেবেন পৌনে ১২ লাখের বেশি ভোটার। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। আজমত উল্লা খানসহ পাঁচ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে আছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের সঙ্গে ৫৭টি ওয়ার্ডে ২৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৭৯ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় রয়েছেন। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে দলটির কর্মী সরকার শাহনূর ইসলাম (রনি সরকার) স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, প্রতীক পেয়েছেন হাতি। অন্যদিকে, দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে মেয়র নির্বাচিত জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। নৌকা প্রতীকে লড়ার জন্য মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হওয়ার অভিযোগে তা আটকে গেলে এখন মাকে জেতাতে তৎপর তিনি। মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বহিষ্কৃত হয়েছেন জাহাঙ্গীর; মায়ের নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা ও বাধার অভিযোগ করে আসছেন তিনি।
মঙ্গলবার গাজীপুর সিটি বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সমর্থন চাইছেন তারা। জমজমাট মাইকিংয়ের মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোস্টার আর ব্যানারে।
এদিন সকালে টঙ্গী বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান। মধ্যরাত পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক প্রচারের সময় থাকলেও এদিন মেয়র প্রার্থীর জনসংযোগে যাওয়ার পরিকল্পনা না থাকার কথা জানান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নেওয়ার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন আজমত উল্লা। তিনি বলেন, “নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা যে নির্বাচনটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি যে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, এই জিনিসটি প্রমাণিত হবে আগামী পরশু দিনের নির্বাচনে। এটাই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ।” ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, “আশাব্যঞ্জক সাড়া আমরা পাচ্ছি। “আমরা আশা করি যে, আগামী পরশু দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে মানুষের দীর্ঘদিনের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে।” তিনি বলেন, “নির্বাচনের মাঠে যে অবস্থা বিরাজমান, মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে, যেভাবে তাদের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করছে, সুতরাং ইনশা আল্লাহ, জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।” ভোটের মাঠে ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা পাওয়ার কথা বলে আসছেন আজমত উল্লা খানের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদা ও রনি সরকার। এজেন্টদেরকে হুমকি-ধামকির অভিযোগও করছেন তারা। এজেন্টদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে আজমত বলেন, “হয়রানির কোনো ডকুমেন্ট আছে? বললে তো হবে না। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জন কথা বলবে।
“কোনো এজেন্ট দেওয়ার পরেৃ এটা পরে বলতে পারে যে, আমাদের এজেন্ট আমরা দিতে পারি নাই। (এজেন্ট) দিতে পারবে কি-না, সেটাতো তাদের জনসমর্থনের উপর নির্ভর করে। এজেন্টদের কোথায় হয়রানিটা করা হচ্ছে? আমার পক্ষ থেকে, আমার দলের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো হয়রানি করা হয় নাই এবং এটা হবেও না।“