ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে চুক্তিতে ইচ্ছুক হামাস

  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : হামাস গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। এর আওতায়, সংগঠনটি বাকি সব বন্দিদের একবারে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে বলে এএফপির বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস একটি এককালীন বন্দি মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের শত্রুতা বন্ধ করতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব নিয়ে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে, যেখানে তারা মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হামাসের সিনিয়র নেতা খালিল আল-হাইয়া। আজকের বৈঠকে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হবে।

যদিও আরেক শীর্ষ নেতা তাহের আল-নোনো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সংগঠনের অস্ত্রসম্ভার নিয়ে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। তবে দৃশ্যপটে কিছু ভিন্ন সুরও দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এন টুয়েলভ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের অন্তত তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা ভবিষ্যতের কোনো নতুন শাসক গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দিতে রাজি হতে পারেন। যদিও পুরো সংগঠনে এখনো এ নিয়ে একমত হয়নি, তবে এটি হামাসের নেতৃত্বের একটি অংশের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণের প্রতি সম্ভাব্য মনোভাবের ইঙ্গিত। হামাসের সূত্রের বরাত দিয়েএন টুয়েলভ জানায়, হামাস জানে তাদের অস্ত্র পরিত্যাগ ছাড়া আরব দেশগুলো গাজার পুনর্গঠনে সাহায্য করবে না এবং গাজায় শান্তি রক্ষার জন্য কোনো বাহিনীও পাঠাবে না, যদি হামাস সশস্ত্র শক্তি হিসেবে টিকে থাকে। আরও জানা গেছে, সম্ভাব্য চূড়ান্ত চুক্তির আওতায় গাজার শক্তিশালী নেতা মুহাম্মদ সিনওয়ার এবং গাজার ব্রিগেড কমান্ডার ইজ্জ আদ-দীন হাদ্দাদকেও উপত্যকা থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
হামলায় নিহত আরও ৮৪

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও কমপক্ষে ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরার। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৮ জন আহতকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় এক আকস্মিক বিমান অভিযান শুরু করে, যার ফলে দুই হাজার ৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন আহত হয়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে চুক্তিতে ইচ্ছুক হামাস

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : হামাস গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছে। এর আওতায়, সংগঠনটি বাকি সব বন্দিদের একবারে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে বলে এএফপির বরাতে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস একটি এককালীন বন্দি মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের শত্রুতা বন্ধ করতে প্রস্তুত। এই প্রস্তাব নিয়ে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই মিসরের রাজধানী কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে, যেখানে তারা মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হামাসের সিনিয়র নেতা খালিল আল-হাইয়া। আজকের বৈঠকে হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধের জন্য তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করা হবে।

যদিও আরেক শীর্ষ নেতা তাহের আল-নোনো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সংগঠনের অস্ত্রসম্ভার নিয়ে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। তবে দৃশ্যপটে কিছু ভিন্ন সুরও দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এন টুয়েলভ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের অন্তত তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তারা ভবিষ্যতের কোনো নতুন শাসক গোষ্ঠীর হাতে অস্ত্র তুলে দিতে রাজি হতে পারেন। যদিও পুরো সংগঠনে এখনো এ নিয়ে একমত হয়নি, তবে এটি হামাসের নেতৃত্বের একটি অংশের মধ্যে নিরস্ত্রীকরণের প্রতি সম্ভাব্য মনোভাবের ইঙ্গিত। হামাসের সূত্রের বরাত দিয়েএন টুয়েলভ জানায়, হামাস জানে তাদের অস্ত্র পরিত্যাগ ছাড়া আরব দেশগুলো গাজার পুনর্গঠনে সাহায্য করবে না এবং গাজায় শান্তি রক্ষার জন্য কোনো বাহিনীও পাঠাবে না, যদি হামাস সশস্ত্র শক্তি হিসেবে টিকে থাকে। আরও জানা গেছে, সম্ভাব্য চূড়ান্ত চুক্তির আওতায় গাজার শক্তিশালী নেতা মুহাম্মদ সিনওয়ার এবং গাজার ব্রিগেড কমান্ডার ইজ্জ আদ-দীন হাদ্দাদকেও উপত্যকা থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।
হামলায় নিহত আরও ৮৪

এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও কমপক্ষে ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গণহত্যায় মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি, আল জাজিরার। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬৮ জন আহতকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা এক লাখ ১৭ হাজার ৪১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৮ মার্চ গাজা উপত্যকায় এক আকস্মিক বিমান অভিযান শুরু করে, যার ফলে দুই হাজার ৬২ জন নিহত এবং পাঁচ হাজার ৩৭৫ জন আহত হয়।