ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার-বোমা হামলা বন্ধে রাজি ইসরায়েল

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং বোমা হামলা বন্ধের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেছেন, জিম্মি মুক্তি এবং ২০ দফা শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ দিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সাময়িকভাবে বোমা হামলা বন্ধের বিষয়ে রাজি হয়েছে। খবর এনডিটিভি, ফক্স নিউজ।

ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল গাজা থেকে ‘প্রাথমিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার’ করার বিষয়ে রাজি হয়েছে। তিনি শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ‘প্রাথমিক প্রত্যাহার লাইন’ মেনে নেবে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

হামাস এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই চুক্তির আওতায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় শুরু হবে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোস্যালে এক পোস্টে লিখেছেন আলোচনার পর, ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহার লাইনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা আমরা হামাসকে দেখিয়েছি এবং তাদের সাথে তথ্য আদান প্রদান করেছি। হামাস যখন নিশ্চিত করবে, তখন যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর হবে, জিম্মি এবং বন্দি বিনিময় শুরু হবে। আমরা পরবর্তী পর্যায়ের প্রত্যাহারের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করবো যা আমাদের তিন হাজার বছরের বিপর্যয়ের ইতি ঘটাবে।

শনিবার সকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পর ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। নেতানিয়াহু তার ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, ইসরায়েল একটি বড় অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এটা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছি এবং আমি আশা করি, ঈশ্বরের সাহায্যে, আগামী দিনগুলোতে আমরা আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, প্রত্যাহার পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়, হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং আইডিএফকে পুনরায় মোতায়েন করা হবে। গাজা উপত্যকার গভীরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অঞ্চলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই হামাসের যেকোনো বাধা বা বিলম্ব কৌশল প্রতিরোধ করতে চায়।

নেতানিয়াহু বলেন, পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে কূটনৈতিক উপায়ে অথবা প্রয়োজনে সামরিক শক্তির মাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে এবং গাজা উপত্যকাকে সামরিকীকরণ করা হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমি ওয়াশিংটনেও বলেছি হয় এটি সহজ উপায়ে অর্জন করা হবে, অথবা এটি কঠিন উপায়ে অর্জন করা হবে। তবে এটি অর্জিত হবে।

তিনি বলেন, একসাথে, আমরা আমাদের শত্রুদের ধ্বংসের পরিকল্পনা প্রতিহত করেছি। গাজা থেকে রাফা, বৈরুত থেকে দামেস্ক, ইয়েমেন থেকে তেহরান, একসাথে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করেছি। বিজয় থেকে বিজয় -আমরা একসাথে মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি।

ওআ/আপ্র/০৫/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমর্থনে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ

গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার-বোমা হামলা বন্ধে রাজি ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৩:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং বোমা হামলা বন্ধের বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লিখেছেন, জিম্মি মুক্তি এবং ২০ দফা শান্তি চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ দিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সাময়িকভাবে বোমা হামলা বন্ধের বিষয়ে রাজি হয়েছে। খবর এনডিটিভি, ফক্স নিউজ।

ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে, ইসরায়েল গাজা থেকে ‘প্রাথমিক ভাবে সেনা প্রত্যাহার’ করার বিষয়ে রাজি হয়েছে। তিনি শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় ‘প্রাথমিক প্রত্যাহার লাইন’ মেনে নেবে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে আলোচনা করেছে।

হামাস এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই চুক্তির আওতায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময় শুরু হবে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোস্যালে এক পোস্টে লিখেছেন আলোচনার পর, ইসরায়েল প্রাথমিক প্রত্যাহার লাইনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, যা আমরা হামাসকে দেখিয়েছি এবং তাদের সাথে তথ্য আদান প্রদান করেছি। হামাস যখন নিশ্চিত করবে, তখন যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকর হবে, জিম্মি এবং বন্দি বিনিময় শুরু হবে। আমরা পরবর্তী পর্যায়ের প্রত্যাহারের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করবো যা আমাদের তিন হাজার বছরের বিপর্যয়ের ইতি ঘটাবে।

শনিবার সকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘন্টা পর ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। নেতানিয়াহু তার ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, ইসরায়েল একটি বড় অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

নেতানিয়াহু বলেন, এটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এটা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করছি এবং আমি আশা করি, ঈশ্বরের সাহায্যে, আগামী দিনগুলোতে আমরা আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করতে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, প্রত্যাহার পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়, হামাস সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং আইডিএফকে পুনরায় মোতায়েন করা হবে। গাজা উপত্যকার গভীরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অঞ্চলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই হামাসের যেকোনো বাধা বা বিলম্ব কৌশল প্রতিরোধ করতে চায়।

নেতানিয়াহু বলেন, পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার অধীনে কূটনৈতিক উপায়ে অথবা প্রয়োজনে সামরিক শক্তির মাধ্যমে হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে এবং গাজা উপত্যকাকে সামরিকীকরণ করা হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, আমি ওয়াশিংটনেও বলেছি হয় এটি সহজ উপায়ে অর্জন করা হবে, অথবা এটি কঠিন উপায়ে অর্জন করা হবে। তবে এটি অর্জিত হবে।

তিনি বলেন, একসাথে, আমরা আমাদের শত্রুদের ধ্বংসের পরিকল্পনা প্রতিহত করেছি। গাজা থেকে রাফা, বৈরুত থেকে দামেস্ক, ইয়েমেন থেকে তেহরান, একসাথে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করেছি। বিজয় থেকে বিজয় -আমরা একসাথে মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিচ্ছি।

ওআ/আপ্র/০৫/১০/২০২৫