বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি আছে ইসরায়েল। গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’র। জেরুজালেমে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে দখলদার এ মন্ত্রী জানান, এক্ষেত্রে তাদের পূর্ব শর্ত হলো হামাসকে ইসরায়েলের সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে গাজাকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে। গত রোববার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এরপর ওইদিন গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা ও পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এতে করে গাজাবাসীর আবারও অভুক্ত থাকার শঙ্কা দেখা দেয়। তবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, এই পণ্যগুলোর মাধ্যমে হামাস অর্থ আয় করছে। এবং বর্তমানে তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হলো মানবিক সহায়তা। হামাসের আয় বন্ধ করতেই গাজায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে বলে এটির বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। যদিও যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো অঞ্চলে খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য প্রবেশ বাধা দেওয়া যুদ্ধাপরাধের সামিল। ইসরায়েলি মন্ত্রী বলেন, “গাজায় হামাসের আয়ের এক নাম্বার উৎসে পরিণত হয়েছে মানবিক সহায়তা। এসব অর্থ দিয়ে তারা তাদের সক্ষমতা পুনর্গঠিত করার চেষ্টা করছে এবং অনেক তরুণকে দলে নিচ্ছে।” এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হওয়া, এরপর মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া— এসব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন গাজাবাসী। তাদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে গাজায় হয়ত আবারও বর্বরতা শুরু করতে পারে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল