ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় ঘোড়ার গাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশুকে হত্যা করল ইসরায়েল

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়িতে হামলা চালিয়ে এক শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ওয়াফা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, নিহত শিশুটি তাদের সেনাদের জন্য ‘হুমকি’ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বহনকারী ওই ঘোড়ার গাড়িটিতে গোলাবর্ষণ করে এবং এতে নাদিয়া মোহাম্মদ আল-আমাউদি নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়। আল-আওদা হাসপাতাল ওয়াফাকে নিশ্চিত করেছে, তারা নিহত ওই শিশুটির মরদেহ এবং তিনজন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, নিহত ওই শিশুটি তাদের সেনাদের জন্য ‘হুমকি’ ছিল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের ওই দলটিকে আক্রমণ করেছিল কারণ তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্য “হুমকি সৃষ্টি করেছিল”। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপরও গুলিবর্ষণ করেছে। ওই ব্যক্তিও ‘ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ’ ছিল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, “(ইসরায়েলি বাহিনী) তাকে দূর সরে যাওয়ার জন্য সতর্কীকরণ গুলি চালায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সরে যায়নি এবং যেহেতু তিনি সৈন্যদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে চলছিলেন, তাই সেই হুমকিটি দূর করার জন্য অতিরিক্ত গুলি চালানো হয়েছিল।” গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটলেও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি আক্রমণে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজায় ঘোড়ার গাড়িতে হামলা চালিয়ে শিশুকে হত্যা করল ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলে ঘোড়ার গাড়িতে হামলা চালিয়ে এক শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ওয়াফা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, নিহত শিশুটি তাদের সেনাদের জন্য ‘হুমকি’ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের পশ্চিমে ইসরায়েলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনিদের বহনকারী ওই ঘোড়ার গাড়িটিতে গোলাবর্ষণ করে এবং এতে নাদিয়া মোহাম্মদ আল-আমাউদি নিহত এবং আরও তিনজন আহত হয়। আল-আওদা হাসপাতাল ওয়াফাকে নিশ্চিত করেছে, তারা নিহত ওই শিশুটির মরদেহ এবং তিনজন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, নিহত ওই শিশুটি তাদের সেনাদের জন্য ‘হুমকি’ ছিল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনিদের ওই দলটিকে আক্রমণ করেছিল কারণ তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্য “হুমকি সৃষ্টি করেছিল”। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর গাজায় একজন ফিলিস্তিনি ব্যক্তির ওপরও গুলিবর্ষণ করেছে। ওই ব্যক্তিও ‘ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ’ ছিল বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, “(ইসরায়েলি বাহিনী) তাকে দূর সরে যাওয়ার জন্য সতর্কীকরণ গুলি চালায়। সন্দেহভাজন ব্যক্তি সরে যায়নি এবং যেহেতু তিনি সৈন্যদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে চলছিলেন, তাই সেই হুমকিটি দূর করার জন্য অতিরিক্ত গুলি চালানো হয়েছিল।” গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের আপাতত অবসান ঘটলেও ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি আক্রমণে নিখোঁজ রয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছিল। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।