ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

  • আপডেট সময় : ০৭:০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ -ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। ইসরায়েল সরকারের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) রাস্তায় নেমেছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা নীল-সাদা ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

বিক্ষোভ থেকে ৬৩ বছর বয়সী মোশে হাহারোনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হলো বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ২০ বছর ধরে দেশের কথা ভাবেন না, নাগরিকদের কথা ভাবেন না।’

শনিবারের সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা পোস্টার হাতে মিছিল করেছেন। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আর রক্তপাত নয়,’ ‘আর কত রক্ত ঝরবে?’ এবং ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, এখনই!’ যাতে করে গাজায় বন্দী থাকা ৫৯ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

 

রোববারও ইসরায়েলের সংসদ এবং পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

৪৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী এরেজ বারমান রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দেড় বছর ধরে গাজায় তীব্র লড়াই দেখেছি, কিন্তু হামাস এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। এখনও তাদের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়েছে, তাই ইসরায়েলি সরকার প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধের নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।’

যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ায়, বন্দীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তারা হয় তাদের বন্দীদের হাতে মারা যাবে অথবা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে বলেছেন যে, তিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্বে থাকা রোনেন বারে’র প্রতি আস্থা হারিয়েছেন এবং তাকে ১০ এপ্রিল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে ইসরায়েলে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৭:০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তেল আবিবে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। ইসরায়েল সরকারের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত নিরাপত্তা পরিষেবার প্রধানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত এবং গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর প্রতিবাদে শনিবার (২২ মার্চ) রাস্তায় নেমেছে তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা নীল-সাদা ইসরায়েলি পতাকা নেড়ে গাজায় আটক থাকা অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।

বিক্ষোভ থেকে ৬৩ বছর বয়সী মোশে হাহারোনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু হলো বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি ২০ বছর ধরে দেশের কথা ভাবেন না, নাগরিকদের কথা ভাবেন না।’

শনিবারের সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা পোস্টার হাতে মিছিল করেছেন। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আর রক্তপাত নয়,’ ‘আর কত রক্ত ঝরবে?’ এবং ‘যুদ্ধ বন্ধ করুন, এখনই!’ যাতে করে গাজায় বন্দী থাকা ৫৯ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।

 

রোববারও ইসরায়েলের সংসদ এবং পশ্চিম জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

৪৪ বছর বয়সী বিক্ষোভকারী এরেজ বারমান রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা দেড় বছর ধরে গাজায় তীব্র লড়াই দেখেছি, কিন্তু হামাস এখনও ক্ষমতায় রয়েছে। এখনও তাদের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়েছে, তাই ইসরায়েলি সরকার প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধের নিজস্ব লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।’

যুদ্ধ পুনরায় শুরু হওয়ায়, বন্দীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, যুদ্ধ চালিয়ে গেলে তারা হয় তাদের বন্দীদের হাতে মারা যাবে অথবা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হবে।

এদিকে নেতানিয়াহু এই সপ্তাহে বলেছেন যে, তিনি ২০২১ সাল থেকে শিন বেতের নেতৃত্বে থাকা রোনেন বারে’র প্রতি আস্থা হারিয়েছেন এবং তাকে ১০ এপ্রিল থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়েছে।