ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত

গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছে জাতিসংঘ

  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বিদেশেরখবর ডেস্ক : গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মীদের সংখ্যা কমাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের কর্মীরাও রয়েছেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রায় ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে এই সপ্তাহে গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। তবে স্টেফান দুজারিক স্বীকার করেছেন, এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন গাজায় মানবিক চাহিদা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

দুজারিক আরও বলেন, এই ‘অস্থায়ী পদক্ষেপ’ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নেওয়া একটি ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’, যা নিরাপত্তা ও কার্যক্রমগত কারণে নেওয়া হয়েছে।
মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, গত ১৯ মার্চ গাজার কেন্দ্রস্থল দেইর আল-বালাহ এলাকায় জাতিসংঘের কম্পাউন্ডে হামলার জন্য একটি ইসরায়েলি ট্যাংক দায়ী। এই হামলায় একজন বুলগেরিয়ান জাতিসংঘ কর্মী নিহত হন এবং ছয় বিদেশি কর্মী গুরুতর আহত হন। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ প্রকাশ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে এই হামলার জন্য দায়ী করল। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবার তাদের দায় অস্বীকার করেছিল। জাতিসংঘের এই বিবৃতি এমন সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল মাত্র দুই মাস পরই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো জানান, এই কর্মী সংকোচন কেবল আন্তর্জাতিক কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গাজায় এখনও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ কর্মী রয়েছেন, যারা ডাক্তার, নার্স, ড্রাইভার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, গাজায় জাতিসংঘের ১৩ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনি।

গত ১৫ মাসে ২৫০-এর বেশি কর্মী নিহত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে মহাসচিব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে প্রত্যাহার করা হবে। দুজারিক আরও জানান, ১৯ মার্চ জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার বিষয়ে মহাসচিব গুতেরেস পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন। এদিকে সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, তারা ভুলবশত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে রেড ক্রসের একটি ভবনে হামলা চালিয়েছিল। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, তাদের অফিস একটি বিস্ফোরক আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কোনও কর্মী আহত হননি। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত

গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মী সংখ্যা কমাচ্ছে জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ০৮:০৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিদেশেরখবর ডেস্ক : গাজায় আন্তর্জাতিক কর্মীদের সংখ্যা কমাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় শত শত বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের কর্মীরাও রয়েছেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক সোমবার (২৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রায় ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে এই সপ্তাহে গাজা থেকে প্রত্যাহার করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। তবে স্টেফান দুজারিক স্বীকার করেছেন, এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন গাজায় মানবিক চাহিদা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

দুজারিক আরও বলেন, এই ‘অস্থায়ী পদক্ষেপ’ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নেওয়া একটি ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’, যা নিরাপত্তা ও কার্যক্রমগত কারণে নেওয়া হয়েছে।
মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন, গত ১৯ মার্চ গাজার কেন্দ্রস্থল দেইর আল-বালাহ এলাকায় জাতিসংঘের কম্পাউন্ডে হামলার জন্য একটি ইসরায়েলি ট্যাংক দায়ী। এই হামলায় একজন বুলগেরিয়ান জাতিসংঘ কর্মী নিহত হন এবং ছয় বিদেশি কর্মী গুরুতর আহত হন। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ প্রকাশ্যে ইসরায়েলি বাহিনীকে এই হামলার জন্য দায়ী করল। যদিও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বারবার তাদের দায় অস্বীকার করেছিল। জাতিসংঘের এই বিবৃতি এমন সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল মাত্র দুই মাস পরই হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো জানান, এই কর্মী সংকোচন কেবল আন্তর্জাতিক কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গাজায় এখনও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ কর্মী রয়েছেন, যারা ডাক্তার, নার্স, ড্রাইভার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মানবিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি বলেন, গাজায় জাতিসংঘের ১৩ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনি।

গত ১৫ মাসে ২৫০-এর বেশি কর্মী নিহত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে মহাসচিব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১০০ আন্তর্জাতিক কর্মীর মধ্যে ৩০ জনকে প্রত্যাহার করা হবে। দুজারিক আরও জানান, ১৯ মার্চ জাতিসংঘ কম্পাউন্ডে ইসরায়েলি ট্যাংক হামলার বিষয়ে মহাসচিব গুতেরেস পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন। এদিকে সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে, তারা ভুলবশত গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে রেড ক্রসের একটি ভবনে হামলা চালিয়েছিল। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি জানিয়েছে, তাদের অফিস একটি বিস্ফোরক আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে কোনও কর্মী আহত হননি। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ২০০ জন আহত হয়েছে।