ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

গাজার ৩ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির খোলা চিঠি

  • আপডেট সময় : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আয়মান সোবহ

আয়মান সোবহ, ওমর মিলাদ এবং আসাদ আসাদ আমরা গাজার তিনটি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়—আল-আকসা ইউনিভার্সিটি, আল-আজহার ইউনিভার্সিটি-গাজা এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজার সভাপতি। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে। গাজার উচ্চশিক্ষার ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের এই সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্প্রদায়ের উদ্দেশে যৌথভাবে একটি বিবৃতি দিচ্ছি।

ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার উদ্দেশ্যে চলা যুদ্ধ গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ হামলা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, এর অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্মূল করার একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক প্রয়াস। এই ধ্বংসযজ্ঞ কোনো ‘আনুষঙ্গিক ক্ষতি’ নয়; এটি গাজায় উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা- যে ভিত্তিগুলো দখলদারত্ব ও অবরোধ সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দৃঢ়তা, আশা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার স্তম্ভ হিসেবে টিকে ছিল। তবে ফিলিস্তিনজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বহু দশক ধরে আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। তারপরও আমরা আজ যা প্রত্যক্ষ করছি তা হলো এর এক ভয়াবহ পর্যায়ে উত্তরণ: বারবার একটু একটু করে ধ্বংস নয়, পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার একটি চেষ্টা।

তবু আমরা অটল রয়েছি। এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ক্যাম্পাস, ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগারসহ অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা এবং শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের হত্যা করার পরও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে আছে। আমরা কেবল অবকাঠামো বা ভবন নই, আমরা এমন এক কমিউনিটির সদস্য, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখনো বেঁচে আছেন এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্পে অবিচল।

২০২৪ সালের ২৯ মে প্রকাশিত ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের একীভূত জরুরি বিবৃতিতে যেমন বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আমাদের ভবনগুলো ধ্বংস করেছে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে।’ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অকল্পনীয় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের মূল মিশন অর্থাৎ শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। অবিরাম বোমাবর্ষণ, অনাহার, ইন্টারনেট ব্যবহারে কঠোর বিধিনিষেধ, অস্থিতিশীল বিদ্যুৎব্যবস্থা এবং চলমান গণহত্যার বিভীষিকাও আমাদের মানসিক দৃঢ়তা ভাঙতে পারেনি। আমরা এখনো এখানে আছি, এখনো শিক্ষা দিচ্ছি এবং গাজায় শিক্ষার ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছি। আমাদের ক্যাম্পাস ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে এবং আমরা টিকিয়ে রাখব।

আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের সহকর্মীদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা কাজ করেন- একটি টেকসই ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য; যার অনুপস্থিতিতে কোনো শিক্ষাব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না এবং এই গণহত্যাকে যারা প্ররোচিত করছে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করার জন্য। গাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। তাই এগুলোকে সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
‘স্কলাসটিকাইড’ বা শিক্ষা ধ্বংসের এই প্রক্রিয়াকে শিক্ষার ওপর একটি পদ্ধতিগত যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিক্ষার অবকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য সমন্বিত ও কৌশলগত আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করা।

আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্প্রদায়—আমাদের সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা- অবরোধ ও বিপুল ক্ষতির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ও গবেষণা পরিচালনার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষার স্বাধীনতাকে সম্মান জানিয়ে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠনে আমাদের সঙ্গে অংশীদারত্বে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। আমাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করেন, গাজার সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন এবং সহায়তা দেন, যেগুলো এখনো শিক্ষাজীবন এবং সম্মিলিত ইন্টেলেকচুয়াল প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে টিকে আছে।

গত বছর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জরুরি কমিটি গঠন করেছি, যা আমাদের তিনটি প্রতিষ্ঠান এবং এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে। এরা সবাই মিলে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিচ্ছে। এই কমিটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং গাজার একাডেমিক কমিউনিটির পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে কাজ করছে। এর পর থেকে এই কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে মনোনিবেশ করা সাবকমিটি গঠন করেছে, যাতে সমন্বিত ও বিশ্বাসযোগ্য সহায়তার চ্যানেল হিসেবে কাজ করা যায়।

আমরা বিশ্বের একাডেমিক কমিউনিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা এই আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সমন্বয় করে। প্রতীকী সমর্থনের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা চাই কার্যকর, সংগঠিত এবং স্থায়ী অংশীদারত্ব। আমাদের সঙ্গে কাজ করুন, যাতে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে থাকে এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠুন।

লেখক: সভাপতি, আল-আকসা ইউনিভার্সিটি
(আল-জাজিরা অবলম্বনে ইংরেজি থেকে অনূদিত)
(মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব)

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজার ৩ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতির খোলা চিঠি

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

আয়মান সোবহ

আয়মান সোবহ, ওমর মিলাদ এবং আসাদ আসাদ আমরা গাজার তিনটি অলাভজনক বিশ্ববিদ্যালয়—আল-আকসা ইউনিভার্সিটি, আল-আজহার ইউনিভার্সিটি-গাজা এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব গাজার সভাপতি। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় গাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে। গাজার উচ্চশিক্ষার ওপর ইসরায়েলের নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের এই সময়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্প্রদায়ের উদ্দেশে যৌথভাবে একটি বিবৃতি দিচ্ছি।

ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার উদ্দেশ্যে চলা যুদ্ধ গাজার শিক্ষাব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ হামলা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, এর অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্মূল করার একটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যমূলক প্রয়াস। এই ধ্বংসযজ্ঞ কোনো ‘আনুষঙ্গিক ক্ষতি’ নয়; এটি গাজায় উচ্চশিক্ষার ভিত্তিকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলার একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা- যে ভিত্তিগুলো দখলদারত্ব ও অবরোধ সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে দৃঢ়তা, আশা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতার স্তম্ভ হিসেবে টিকে ছিল। তবে ফিলিস্তিনজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বহু দশক ধরে আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছে। তারপরও আমরা আজ যা প্রত্যক্ষ করছি তা হলো এর এক ভয়াবহ পর্যায়ে উত্তরণ: বারবার একটু একটু করে ধ্বংস নয়, পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার একটি চেষ্টা।

তবু আমরা অটল রয়েছি। এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ক্যাম্পাস, ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগারসহ অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলা এবং শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের হত্যা করার পরও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে আছে। আমরা কেবল অবকাঠামো বা ভবন নই, আমরা এমন এক কমিউনিটির সদস্য, যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা এখনো বেঁচে আছেন এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যকে এগিয়ে নেওয়ার সংকল্পে অবিচল।

২০২৪ সালের ২৯ মে প্রকাশিত ফিলিস্তিনি শিক্ষাবিদ ও প্রশাসকদের একীভূত জরুরি বিবৃতিতে যেমন বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আমাদের ভবনগুলো ধ্বংস করেছে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে।’ এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অকল্পনীয় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের মূল মিশন অর্থাৎ শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখেছেন। অবিরাম বোমাবর্ষণ, অনাহার, ইন্টারনেট ব্যবহারে কঠোর বিধিনিষেধ, অস্থিতিশীল বিদ্যুৎব্যবস্থা এবং চলমান গণহত্যার বিভীষিকাও আমাদের মানসিক দৃঢ়তা ভাঙতে পারেনি। আমরা এখনো এখানে আছি, এখনো শিক্ষা দিচ্ছি এবং গাজায় শিক্ষার ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছি। আমাদের ক্যাম্পাস ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো টিকে আছে এবং আমরা টিকিয়ে রাখব।

আমরা বিশ্বজুড়ে আমাদের সহকর্মীদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা কাজ করেন- একটি টেকসই ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য; যার অনুপস্থিতিতে কোনো শিক্ষাব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না এবং এই গণহত্যাকে যারা প্ররোচিত করছে, তাদের সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করার জন্য। গাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। তাই এগুলোকে সমর্থন ও সুরক্ষা দিতে তাৎক্ষণিকভাবে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
‘স্কলাসটিকাইড’ বা শিক্ষা ধ্বংসের এই প্রক্রিয়াকে শিক্ষার ওপর একটি পদ্ধতিগত যুদ্ধ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিক্ষার অবকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য সমন্বিত ও কৌশলগত আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করা।

আমরা আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্প্রদায়—আমাদের সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান ও বন্ধুদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা- অবরোধ ও বিপুল ক্ষতির মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া ও গবেষণা পরিচালনার ব্যাপারে আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেন। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষার স্বাধীনতাকে সম্মান জানিয়ে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দীর্ঘমেয়াদি পুনর্গঠনে আমাদের সঙ্গে অংশীদারত্বে অঙ্গীকারবদ্ধ হন। আমাদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করেন, গাজার সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হন এবং সহায়তা দেন, যেগুলো এখনো শিক্ষাজীবন এবং সম্মিলিত ইন্টেলেকচুয়াল প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে টিকে আছে।

গত বছর আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জরুরি কমিটি গঠন করেছি, যা আমাদের তিনটি প্রতিষ্ঠান এবং এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে। এরা সবাই মিলে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিচ্ছে। এই কমিটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মুছে ফেলার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং গাজার একাডেমিক কমিউনিটির পক্ষে একটি ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে কাজ করছে। এর পর থেকে এই কমিটি বিভিন্ন বিষয়ে মনোনিবেশ করা সাবকমিটি গঠন করেছে, যাতে সমন্বিত ও বিশ্বাসযোগ্য সহায়তার চ্যানেল হিসেবে কাজ করা যায়।

আমরা বিশ্বের একাডেমিক কমিউনিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা এই আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের সমন্বয় করে। প্রতীকী সমর্থনের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা চাই কার্যকর, সংগঠিত এবং স্থায়ী অংশীদারত্ব। আমাদের সঙ্গে কাজ করুন, যাতে গাজার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিকে থাকে এবং আমাদের সম্মিলিত ভবিষ্যতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠুন।

লেখক: সভাপতি, আল-আকসা ইউনিভার্সিটি
(আল-জাজিরা অবলম্বনে ইংরেজি থেকে অনূদিত)
(মতামত লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব)

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ