ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গাজার জন্য সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের, ফের কনস্যুলেট চালুর আশ্বাস

  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।সম্প্রতি ইসরায়েলে সঙ্গে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের অস্ত্রবিরতি আরও দৃঢ় করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্লিংকেনের এই ঘোষণা এলো বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিলো তা প্রশমিত করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। বন্ধের আগে এই কনস্যুলেট ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষায় ভূমিকা রাখতো।
ট্রাম্পের প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দুই বছর পর ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করে শহরটিতে থাকা মার্কিন কনস্যুলেটকে দূতাবাসের সঙ্গে একীভূত করে ফেলে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার পূর্বসূরীর ওই পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত পাল্টাতে না চাইলেও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য লাখ লাখ ডলারের সহায়তা পুনর্বহাল করেছেন যা ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বাতিল করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিংকেন বলেন, জরুরি দুর্যোগ ত্রাণ হিসেবে গাজার জন্য ৫৫ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তিন কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হবে সেখানকার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি সহায়তা সংস্থাকে।
এছাড়া ২০২১ সালে ফিলিস্তিনিদের জন্য উন্নয়ন ও আর্থিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত সাড়ে সাত কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দেন ব্লিকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় থাকা হামাস যাতে এই সহায়তা তহবিল থেকে কোনভাবেই সুবিধা নিতে না পারে ওয়াশিংটন তা নিশ্চিত করবে বলে ব্লিংকেন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সহায়তা তহবিল সঠিকভাবে বিতরণ করা হলে সার্থকভাবেই হাসামকেই দুর্বল করা হবে যারা মানুষের অসহায়ত্ব, দুর্দশা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া, সুযোগের অভাবকে কাজে লাগিয়ে টিকে আছে।” গত মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন জানান, ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র এখনও দুই-রাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কিন্তু ইসরায়েল অথবা ফিলিস্তিন আবারও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা এই সমাধান প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কর্মকা- বাড়িয়ে দেওয়া, পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে বিতারণ আর তার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে গেরিলা আক্রমণ জোরদার করার মতো ঘটনাগুলো ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে মিশরের মধ্যস্ততায় শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে ১১ দিন ধরে গাজায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েল, পাল্টা পদক্ষেপে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা চালায় হামাস।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর শুরু হয় জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যদিয়ে। ওই বৈঠক শেষে ব্লিংকেনকে পাশে রেখে নেতানিয়াহু হামাসের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “যদি আবারও ইসরায়েল সীমান্তে রকটে হামলা চালানো হয় তাহলে এর খুবই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”
ব্লিংকেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গড়াবে। এ সময়ের মধ্যে তিনি মিশর এবং জর্ডানও সফর করবেন। বাইডেনের প্রশাসনের নীতিকে সাধুবাদ আব্বাসের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাশে রেখে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রেসিডেন্ট জো বাইজেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তাদের ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান এবং হারাম আল-শরিফের অবস্থান অপরিবর্তিত রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ’ থাকার জন্য।
শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দারের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে এমনটি উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারেও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা থেকেই সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস লড়াই শুরু হয়। ইসরায়েল এবং মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালে ভেস্তে যায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন এখনই বিস্তৃত শান্তি আলোচনা শুরুর সময় হয়নি।
ইসরায়েলের ভেতরেও যথেষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দুই বছরে সেদেশে চারটি সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি টেকসই সরকার গড়তে পারেনি কোন রাজনৈতিক দল বা জোট। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা হামাস এবং আব্বাসের ফাতাহর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাজার জন্য সহায়তা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের, ফের কনস্যুলেট চালুর আশ্বাস

আপডেট সময় : ১১:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।সম্প্রতি ইসরায়েলে সঙ্গে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের অস্ত্রবিরতি আরও দৃঢ় করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্লিংকেনের এই ঘোষণা এলো বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিলো তা প্রশমিত করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন। বন্ধের আগে এই কনস্যুলেট ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষায় ভূমিকা রাখতো।
ট্রাম্পের প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দুই বছর পর ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করে শহরটিতে থাকা মার্কিন কনস্যুলেটকে দূতাবাসের সঙ্গে একীভূত করে ফেলে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার পূর্বসূরীর ওই পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত পাল্টাতে না চাইলেও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য লাখ লাখ ডলারের সহায়তা পুনর্বহাল করেছেন যা ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় বাতিল করেছিলেন।
গত মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিংকেন বলেন, জরুরি দুর্যোগ ত্রাণ হিসেবে গাজার জন্য ৫৫ লাখ ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তিন কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়া হবে সেখানকার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি সহায়তা সংস্থাকে।
এছাড়া ২০২১ সালে ফিলিস্তিনিদের জন্য উন্নয়ন ও আর্থিক সহায়তা হিসেবে অতিরিক্ত সাড়ে সাত কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দেন ব্লিকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় থাকা হামাস যাতে এই সহায়তা তহবিল থেকে কোনভাবেই সুবিধা নিতে না পারে ওয়াশিংটন তা নিশ্চিত করবে বলে ব্লিংকেন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সহায়তা তহবিল সঠিকভাবে বিতরণ করা হলে সার্থকভাবেই হাসামকেই দুর্বল করা হবে যারা মানুষের অসহায়ত্ব, দুর্দশা, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া, সুযোগের অভাবকে কাজে লাগিয়ে টিকে আছে।” গত মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন জানান, ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র এখনও দুই-রাষ্ট্র সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কিন্তু ইসরায়েল অথবা ফিলিস্তিন আবারও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা এই সমাধান প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কর্মকা- বাড়িয়ে দেওয়া, পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদেরকে বিতারণ আর তার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে গেরিলা আক্রমণ জোরদার করার মতো ঘটনাগুলো ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে মিশরের মধ্যস্ততায় শুক্রবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে ১১ দিন ধরে গাজায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েল, পাল্টা পদক্ষেপে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে রকেট হামলা চালায় হামাস।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর শুরু হয় জেরুজালেমে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যদিয়ে। ওই বৈঠক শেষে ব্লিংকেনকে পাশে রেখে নেতানিয়াহু হামাসের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “যদি আবারও ইসরায়েল সীমান্তে রকটে হামলা চালানো হয় তাহলে এর খুবই কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”
ব্লিংকেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গড়াবে। এ সময়ের মধ্যে তিনি মিশর এবং জর্ডানও সফর করবেন। বাইডেনের প্রশাসনের নীতিকে সাধুবাদ আব্বাসের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাশে রেখে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রেসিডেন্ট জো বাইজেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তাদের ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান এবং হারাম আল-শরিফের অবস্থান অপরিবর্তিত রাখার প্রতিশ্রুতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ’ থাকার জন্য।
শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দারের সুরক্ষিত রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে এমনটি উল্লেখ করে তিনি এ ব্যাপারেও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা থেকেই সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাস লড়াই শুরু হয়। ইসরায়েল এবং মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালে ভেস্তে যায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন এখনই বিস্তৃত শান্তি আলোচনা শুরুর সময় হয়নি।
ইসরায়েলের ভেতরেও যথেষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। দুই বছরে সেদেশে চারটি সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত একটি টেকসই সরকার গড়তে পারেনি কোন রাজনৈতিক দল বা জোট। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা হামাস এবং আব্বাসের ফাতাহর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে।