বিদেশের খবর ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ভ্যাটিকানের সরকারের সদস্যদের তিনি বলেন, গাজায় শিশুদের ওপর বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটি নির্মমতা, যুদ্ধ নয়। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের সাত শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। এর একদিন পরই ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানালেন পোপ ফ্রান্সিস।
পোপ বলেন, আমি এটি বলতে চাই। আমি এটি বলতে চাই কারণ এটি আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। তারা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেরুজালেমে অবস্থিত খ্রিস্টান চার্চের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতাকেও সেখানে প্রবেশ করতে দেয়নি।
পোপের ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তাকে দ্বৈত নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে ইসরায়েলি সরকার। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র পোপের মন্তব্যকে ‘বিশেষভাবে হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে তিনি ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে আরও কঠোর মন্তব্য করেছেন।
নভেম্বরের শেষ দিকে পোপ ফ্রান্সিস বলেছিলেন, ফিলিস্তিনে ‘দখলদারের ঔদ্ধত্য’ সংলাপের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছে; যা ভ্যাটিকানের ঐতিহ্যগত নিরপেক্ষ অবস্থানের সঙ্গে বিপরীত। সদ্য প্রকাশিত বইয়ে তিনি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি গণহত্যার কারিগরি সংজ্ঞার সঙ্গে মেলে কি না, তা সতর্কতার সঙ্গে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ইসরায়েল এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১৩ সাল থেকে ভ্যাটিকান ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানকে সমর্থন করে।
এদিকে ইসরাইলে আগ্রাসনের মধ্যে গাজায় নেই বড়দিনের আমেজ। পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে বড়দিন ঘিরে সব উৎসব বাতিল করা হয়েছে।