ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
গাজায় ট্যাংক নিয়ে রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান

গাজায় ট্যাংক নিয়ে রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনার যে কথা জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল, তার বাস্তব ভয়ানক রূপ গত রাতে প্রত্যক্ষ করেছে গাজাবাসী। সাঁজোয়া ট্যাংক ও বুলডোজারের বহর নিয়ে সীমানা অতিক্রম করে গাজার বিভিন্ন স্থানকে নিশানা করে রাতভর হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযানের একটি ভিডিও শেয়ার করে আইডিএফ বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী প্রস্তুতি, হামাস যোদ্ধাদের আস্তানা ও ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল হামলার ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের পর সেনারা ইসরায়েলে ফিরে গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল হামলা চালানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আসছিলেন। তবে কখন, কীভাবে ওই আক্রমণ চালানো হবে, সে ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানাননি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাব দিতে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার মধ্যেই স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি করে আসছিল দেশটি। এজন্য গত সপ্তাহে গাজা ও উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছিল তারা। কিন্তু জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বিবিসি-কে জানান, যেসব বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়েছিলেন, দক্ষিণের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তারা ফের উত্তরের ফিরে আসতে শুরু করেছিলেন। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রক্তাক্ত গাজাবাসীর এই ছোটাছুটি শেষ হচ্ছে না। ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৭০০ জনই শিশু। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার ও চিকিৎসা সংকটে তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে গাজায়। জাতিসংঘ বলছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে জ্বালানি শেষ হয়ে আসবে। হাসপাতালগুলো কেবল জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে।
এমন অভিযান প্রথম নয়:
বিবিসি জানিয়েছে, গতরাতে যে অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম কোনও অভিযান নয়।
১৩ অক্টোবরও গাজায় এমন আক্রমণ চালানোর কথা জানায় আইডিএফ। হামাসকে লক্ষ্য করে তারা সেনা ও ট্যাংক পাঠিয়ে আক্রমণ চালায়। সেদিনই উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়। চারদিন আগে ২২ অক্টোবর গাজায় অভিযানের সময় ইসরায়েলের ট্যাংক লক্ষ করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়। সবশেষ আক্রমণের দৃশ্যে ইসরায়েলের সেনাদের ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে এগোতে দেখা যায়। তবে বিবিসি বলছে, সেনারা প্রতিরোধ স্থল খুঁজে বের করে সেগুলোর ধ্বংস করছে, স্থল আক্রমণের এমন দৃশ্যই কেউ দেখতে চাইবেন। কিন্তু ছবিতে সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ক্ষমতায় থাকতে’ ইউনূস মৌলবাদীদের ‘একখানে করেছেন’: গয়েশ্বর

গাজায় ট্যাংক নিয়ে রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান

গাজায় ট্যাংক নিয়ে রাতভর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনার যে কথা জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল, তার বাস্তব ভয়ানক রূপ গত রাতে প্রত্যক্ষ করেছে গাজাবাসী। সাঁজোয়া ট্যাংক ও বুলডোজারের বহর নিয়ে সীমানা অতিক্রম করে গাজার বিভিন্ন স্থানকে নিশানা করে রাতভর হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযানের একটি ভিডিও শেয়ার করে আইডিএফ বলছে, যুদ্ধের পরবর্তী প্রস্তুতি, হামাস যোদ্ধাদের আস্তানা ও ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল হামলার ঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়ার অংশ হিসেবে তারা এই অভিযান চালিয়েছে। অভিযানের পর সেনারা ইসরায়েলে ফিরে গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল হামলা চালানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়ে আসছিলেন। তবে কখন, কীভাবে ওই আক্রমণ চালানো হবে, সে ব্যাপারে আগে থেকে কিছু জানাননি।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাব দিতে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার মধ্যেই স্থল অভিযান চালানোর ব্যাপারে হুঁশিয়ারি করে আসছিল দেশটি। এজন্য গত সপ্তাহে গাজা ও উত্তরাঞ্চলের ১১ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছিল তারা। কিন্তু জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বিবিসি-কে জানান, যেসব বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়েছিলেন, দক্ষিণের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তারা ফের উত্তরের ফিরে আসতে শুরু করেছিলেন। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে রক্তাক্ত গাজাবাসীর এই ছোটাছুটি শেষ হচ্ছে না। ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৭০০ জনই শিশু। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার ও চিকিৎসা সংকটে তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে গাজায়। জাতিসংঘ বলছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে জ্বালানি শেষ হয়ে আসবে। হাসপাতালগুলো কেবল জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে।
এমন অভিযান প্রথম নয়:
বিবিসি জানিয়েছে, গতরাতে যে অভিযান চালানো হয়েছে, সেটি ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রথম কোনও অভিযান নয়।
১৩ অক্টোবরও গাজায় এমন আক্রমণ চালানোর কথা জানায় আইডিএফ। হামাসকে লক্ষ্য করে তারা সেনা ও ট্যাংক পাঠিয়ে আক্রমণ চালায়। সেদিনই উত্তর গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়। চারদিন আগে ২২ অক্টোবর গাজায় অভিযানের সময় ইসরায়েলের ট্যাংক লক্ষ করে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়। সবশেষ আক্রমণের দৃশ্যে ইসরায়েলের সেনাদের ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে এগোতে দেখা যায়। তবে বিবিসি বলছে, সেনারা প্রতিরোধ স্থল খুঁজে বের করে সেগুলোর ধ্বংস করছে, স্থল আক্রমণের এমন দৃশ্যই কেউ দেখতে চাইবেন। কিন্তু ছবিতে সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না।