ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

গাজাকে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহার

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণ গাজা থেকে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোর থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই করিডোর ব্যবহার করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাড়িতে করে মালামালসহ উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, গত ১৯ জানুয়ারি হামাস-ইসরায়েলের স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী নেতজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত ২১ ইসরায়েলি ও ৫৬৬ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শেষে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের ৩৩ জনের মাঝে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের শত শত যোদ্ধা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখেন। এই হামলার পর সেদিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ হাজার ১৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইসরায়েলি হামলার মুখে উত্তর গাজার প্রায় ৭ লাখ বাসিন্দা দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে যান। ওই অঞ্চলে স্থল আক্রমণ শুরু করার আগে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি। পরে দক্ষিণ গাজাকেও নিশানা বানিয়ে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে সেখানে পাড়ি জমানো ফিলিস্তিনিদের একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।

ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে ফিরতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নেতজারিম করিডোর। উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্তকারী এই করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সক্রিয় অবস্থানের কারণে ফিলিস্তিনিরা বাড়িঘরে ফিরতে পারছিলেন না।

ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা বাহিনী করিডোরের পূর্ব অংশ থেকে রোববারের সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। বিবিসি বলেছে, সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে গাজা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনীর। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গাজাকে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলের সৈন্য প্রত্যাহার

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণ গাজা থেকে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোর থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই করিডোর ব্যবহার করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাড়িতে করে মালামালসহ উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, গত ১৯ জানুয়ারি হামাস-ইসরায়েলের স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী নেতজারিম করিডোর থেকে ইসরায়েলি সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত ২১ ইসরায়েলি ও ৫৬৬ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শেষে ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মি ও এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েল বলেছে, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের ৩৩ জনের মাঝে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের শত শত যোদ্ধা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখেন। এই হামলার পর সেদিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ হাজার ১৮৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ। এ সময় ইসরায়েলি হামলায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

যুদ্ধের শুরুর দিকে ইসরায়েলি হামলার মুখে উত্তর গাজার প্রায় ৭ লাখ বাসিন্দা দক্ষিণ গাজায় পালিয়ে যান। ওই অঞ্চলে স্থল আক্রমণ শুরু করার আগে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি। পরে দক্ষিণ গাজাকেও নিশানা বানিয়ে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে সেখানে পাড়ি জমানো ফিলিস্তিনিদের একাধিকবার স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।

ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে ফিরতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত নেতজারিম করিডোর। উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্তকারী এই করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সক্রিয় অবস্থানের কারণে ফিলিস্তিনিরা বাড়িঘরে ফিরতে পারছিলেন না।

ইসরায়েলে প্রতিরক্ষা বাহিনী করিডোরের পূর্ব অংশ থেকে রোববারের সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। বিবিসি বলেছে, সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে গাজা সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনীর। সূত্র: বিবিসি, এএফপি।