ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

গাছে আমের মুকুল, শঙ্কায় বাগানিরা

  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে আমগাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। আগাম জাতের গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর সব গাছে মুকুল আসতে সময় লাগবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত তীব্র শীতে মুকুলের ক্ষতি না হলেও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এবার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৫৭৮.৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন আম। গত বছর আম বিক্রি করে এ অঞ্চলের চাষিদের আয় হয়েছিল ১৫২৮ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও নগরীর বেশ কিছু এলাকার অগ্রীম জাতের আমের গাছে মুকুল এসেছে। এসব গাছ ও মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এখনও বেশিরভাগ আম বাগানে মুকুল ফুটে ওঠেনি। রাজশাহীর বাঘা এলাকার চাষি আব্দুল মতিন বলেন, আগাম জাতের ৪টি গাছে মুকুল এসেছে। বাকি ১৮টি গাছে এখনও মুকুল আসেনি। আশা করছি দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই মুকুল চলে আসবে। এখন গাছের গোড়ার যতœ নিচ্ছি। রাজশাহীর পবা এলাকার চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও কাঁচা মিষ্টি ও আগাম জাতের গুটি আমের গাছে মুকুল এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব গাছ মুকুলে ছেয়ে যাবে। তবে কুয়াশায় কিছু মুকুল নষ্ট হতে পরে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, আগাম কিছু জাতের গাছে মুকুল এসেছে। রাজশাহীতে এবার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে চলে আসবে। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহীর কিছু বাগানে আমের মুকুল এসেছে। সব আমের মুকুল ফুটতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে মুকুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ছত্রাকনাশক ও ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তাহলেই এই ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাছে আমের মুকুল, শঙ্কায় বাগানিরা

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

রাজশাহী সংবাদদাতা : রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে আমগাছে দেখা দিয়েছে মুকুল। আগাম জাতের গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর সব গাছে মুকুল আসতে সময় লাগবে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত তীব্র শীতে মুকুলের ক্ষতি না হলেও শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এবার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৫৭৮.৮ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ মেট্রিক টন আম। গত বছর আম বিক্রি করে এ অঞ্চলের চাষিদের আয় হয়েছিল ১৫২৮ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও নগরীর বেশ কিছু এলাকার অগ্রীম জাতের আমের গাছে মুকুল এসেছে। এসব গাছ ও মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এখনও বেশিরভাগ আম বাগানে মুকুল ফুটে ওঠেনি। রাজশাহীর বাঘা এলাকার চাষি আব্দুল মতিন বলেন, আগাম জাতের ৪টি গাছে মুকুল এসেছে। বাকি ১৮টি গাছে এখনও মুকুল আসেনি। আশা করছি দুই-এক সপ্তাহের মধ্যেই মুকুল চলে আসবে। এখন গাছের গোড়ার যতœ নিচ্ছি। রাজশাহীর পবা এলাকার চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও কাঁচা মিষ্টি ও আগাম জাতের গুটি আমের গাছে মুকুল এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব গাছ মুকুলে ছেয়ে যাবে। তবে কুয়াশায় কিছু মুকুল নষ্ট হতে পরে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, আগাম কিছু জাতের গাছে মুকুল এসেছে। রাজশাহীতে এবার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে চলে আসবে। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাজশাহীর কিছু বাগানে আমের মুকুল এসেছে। সব আমের মুকুল ফুটতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে মুকুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ছত্রাকনাশক ও ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তাহলেই এই ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যাবে।