ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

গাছতলায় ক্লাস নিলেন রাবি সাংবাদিকতার শিক্ষক মামুন

  • আপডেট সময় : ১১:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার প্রতিবাদে গাছতলায় প্রতীকী ক্লাস নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে লিপু চত্বরে ক্লাস নেন তিনি। এর আগে, শুক্রবার নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে পোস্ট করে সশরীরে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
প্রতীকী ক্লাসে তিনি মিডিয়া ও ক্ষমতার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এটাকে আমাদের অযৌক্তিক মনে হয়েছে। সরকার মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে অথচ তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনছে না। তাহলে এর মানে কী? তাই এর প্রতিবাদে আমরা প্রতীকী ক্লাস নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই প্রতীকী ক্লাস প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার নেয়া হবে। এতে সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আমি শুধু একা নই, যে শিক্ষক যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি সে বিষয়ে ক্লাস নেবেন। এ ক্লাস অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষা নিয়ে তামাশা করা নয়, বাক্সের মধ্যে বন্দি করা নয়, শিক্ষার সত্যিকার উদ্দেশ্য হাসিল করতে এ উদ্যোগ৷ ক্লাস নেয়া হলে চর্চা হবে। এতে শিক্ষকরাও উপকৃত হবেন।
এদিকে সশরীরে ক্লাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক।
এদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম কনক বুধবার (১৮ অগাস্ট) থেকে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত সবচেয়ে অবহেলিত। আমাদের ক্লাস মূলত একটা প্রতিকৃতি। আমরা সরকারে মেসেজ দিতে চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের পর থেকে প্রায় ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একাধিক তারিখ দিয়েও পরে তা বাতিল করা হয়। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গাছতলায় ক্লাস নিলেন রাবি সাংবাদিকতার শিক্ষক মামুন

আপডেট সময় : ১১:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অগাস্ট ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার প্রতিবাদে গাছতলায় প্রতীকী ক্লাস নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে লিপু চত্বরে ক্লাস নেন তিনি। এর আগে, শুক্রবার নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে পোস্ট করে সশরীরে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
প্রতীকী ক্লাসে তিনি মিডিয়া ও ক্ষমতার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এটাকে আমাদের অযৌক্তিক মনে হয়েছে। সরকার মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে অথচ তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনছে না। তাহলে এর মানে কী? তাই এর প্রতিবাদে আমরা প্রতীকী ক্লাস নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই প্রতীকী ক্লাস প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার নেয়া হবে। এতে সামাজিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আমি শুধু একা নই, যে শিক্ষক যে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি সে বিষয়ে ক্লাস নেবেন। এ ক্লাস অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষা নিয়ে তামাশা করা নয়, বাক্সের মধ্যে বন্দি করা নয়, শিক্ষার সত্যিকার উদ্দেশ্য হাসিল করতে এ উদ্যোগ৷ ক্লাস নেয়া হলে চর্চা হবে। এতে শিক্ষকরাও উপকৃত হবেন।
এদিকে সশরীরে ক্লাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ক্লাসে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ, ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক।
এদের মধ্যে আমিরুল ইসলাম কনক বুধবার (১৮ অগাস্ট) থেকে ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত সবচেয়ে অবহেলিত। আমাদের ক্লাস মূলত একটা প্রতিকৃতি। আমরা সরকারে মেসেজ দিতে চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের পর থেকে প্রায় ১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার একাধিক তারিখ দিয়েও পরে তা বাতিল করা হয়। সর্বশেষ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।