ঢাকা ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধায় যত্রতত্র পশু জবাই, দুর্গন্ধে দূষিত পরিবেশ

  • আপডেট সময় : ০৯:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিনিধিত্বকারী ছবি

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হকার্স মার্কেট। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু বাজারে নির্দিষ্ট শেড থাকলেও যত্রতত্র পশু-প্রাণি জবাই করে বর্জ্য পদার্থ ফেলে রাখায় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে এলাকায় রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে।

ভুক্তভোগী আলম মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে জানা যায়, পৌরসভার হকার্স মার্কেটে রাস্তা বন্ধ করে মুরগি জবাই করে রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও মলমূত্র যত্রতত্র ফেলে রাখে। ফলে দুর্গন্ধের কারণে বাজারে জনসাধারণ প্রবেশ করতে নাক চেপে ধরতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাজারে লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধের কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ী বিশেষ করে চা স্টল, হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

অথচ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১২ লাখ টাকা দিয়ে মুরগির শেড নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলো মুরগি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার না করায় অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি বাজারের পরিবেশও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, হকার্স মার্কেটে ড্রেনের ওপর খাসি জবাই করে রক্ত, ভুঁড়ি, মলমূত্র ফেলায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খাসি জবাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করায় অনেক কসাই রোগাক্রান্ত ও অপরিণত পশু জবাই করছে। এমনকি ভেড়া জবাই করে তা খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন পশু জবাইয়ের আগে পৌরসভা থেকে যাচাই-বাছাই করে সিল দেয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছেনা।

এভাবে কোনো জবাবদিহিতা না থাকার ফলে কসাইরা ইচ্ছামতো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে বিক্রি করছে। এর ফলে ভোক্তারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন তেমনি নানা রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌর প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

রিয়াজ/সানা/আপ্র/০৩/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গাইবান্ধায় যত্রতত্র পশু জবাই, দুর্গন্ধে দূষিত পরিবেশ

আপডেট সময় : ০৯:২৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা পৌরসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হকার্স মার্কেট। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু বাজারে নির্দিষ্ট শেড থাকলেও যত্রতত্র পশু-প্রাণি জবাই করে বর্জ্য পদার্থ ফেলে রাখায় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ছে। এতে পরিবেশ দূষিত হয়ে এলাকায় রোগ জীবাণু ছড়াচ্ছে।

ভুক্তভোগী আলম মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ থেকে জানা যায়, পৌরসভার হকার্স মার্কেটে রাস্তা বন্ধ করে মুরগি জবাই করে রক্ত, নাড়িভুঁড়ি ও মলমূত্র যত্রতত্র ফেলে রাখে। ফলে দুর্গন্ধের কারণে বাজারে জনসাধারণ প্রবেশ করতে নাক চেপে ধরতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাজারে লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দুর্গন্ধের কারণে অন্যান্য ব্যবসায়ী বিশেষ করে চা স্টল, হোটেলসহ খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।

অথচ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১২ লাখ টাকা দিয়ে মুরগির শেড নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেগুলো মুরগি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার না করায় অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি বাজারের পরিবেশও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, হকার্স মার্কেটে ড্রেনের ওপর খাসি জবাই করে রক্ত, ভুঁড়ি, মলমূত্র ফেলায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খাসি জবাইয়ের ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করায় অনেক কসাই রোগাক্রান্ত ও অপরিণত পশু জবাই করছে। এমনকি ভেড়া জবাই করে তা খাসির মাংস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। অথচ প্রতিদিন পশু জবাইয়ের আগে পৌরসভা থেকে যাচাই-বাছাই করে সিল দেয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছেনা।

এভাবে কোনো জবাবদিহিতা না থাকার ফলে কসাইরা ইচ্ছামতো রোগাক্রান্ত পশু জবাই করে বিক্রি করছে। এর ফলে ভোক্তারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন তেমনি নানা রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌর প্রশাসক একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের আগেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে।

রিয়াজ/সানা/আপ্র/০৩/১১/২০২৫