ঢাকা ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধায় অ্যালার্জি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি

  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার শহর বন্দরে অ্যালার্জি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এ রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেশি। অনেকে ধারণা করছেন, করোনার টিকা নেওয়ার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার সঙ্গে এ রোগের কোনো সম্পর্ক নেই, এটি একটি ভুল ধারণা।

জানা গেছে, এলার্জিতে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে হাতে চিপায় পানি গোটা ওঠে। এরপর সেটি সাদা হয়ে স্ক্যাভিসে রূপ নেয়। আবার অনেকের শরীরের চামড়ার নিচে চুলকায়। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে বায়ুদূষণ, দূষিত পানি, অনিয়ন্ত্রিত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অ্যালার্জি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে ছোঁয়াচে প্রকৃতির কারণে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।

চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, এ রোগ দীর্ঘস্থায়ী হলেও চিকিৎসা নিলে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব। ত্বকে যেই অ্যালার্জি হয় একে সাধারণত বলা হয় আর্টিকেরিয়া। শরীর চাক চাক হয়ে যায়, লাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের শরীওে এলার্জি হয়, এতে চামড়া লাল হয়ে যায়, চুলকায়- একে বলে এটোপিক ডার্মাটাইটিস। বড়দের অনেক সময় হয় কনট্রাক্ট ডার্মাটাইটিস। কোনো কোনো স্পর্শে অ্যালার্জি হয়- এগুলো হয় ত্বকে। নাকের মধ্যে অ্যালার্জি হয়ে নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়। অনবরত হাঁচির এলার্জিকে বলা হয়, অ্যালার্জি রাইনাইটিস। অনেকের আবার ফুসফুসের মধ্যে অ্যালার্জি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, কাশি হয়, এতে রাতে ঘুমাতে পারে না। এই সবই অ্যালার্জির বিভিন্ন রকম প্রকাশ।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ আসিফ রহমান জানান, আসলে সবারই একটি অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো উচিত। কার কিসে অ্যালার্জি। কারো মাইটে অ্যালার্জি হয়, কারো ফাঙ্গাল অ্যালার্জি হয়। তিনি বলেন, আমাদের একটি সাধারণ ধারণা অ্যাজমা হয়েছে, সুতরাং গরুর মাংস, চিংড়ি, বোয়াল মাছ, গজার মাছ সব খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে এগুলো ঠিক নয়।

তার মতে, দেশে শতকরা ৯৮ শতাংশ রোগীরই গরুর মাংসে অ্যালার্জি হয় না। গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা। তাই অ্যাজমা হয়েছে দেখে গরুর মাংস, চিংড়ি খাওয়া যাবে না, সেটি ঠিক নয়। প্রথমে একটি অ্যালার্জির পরীক্ষা করতে হবে। অ্যালার্জি পরীক্ষা করে যে এলার্জেন পাওয়া যায় সেটিকে শুধু এড়িয়ে যেতে হবে।
রিয়াজ/সানা/আপ্র/১১/১১/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

গাইবান্ধায় অ্যালার্জি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

আঃ জলিল মন্ডল, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার সাত উপজেলার শহর বন্দরে অ্যালার্জি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এ রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেশি। অনেকে ধারণা করছেন, করোনার টিকা নেওয়ার পর থেকে এ সমস্যা শুরু হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, টিকার সঙ্গে এ রোগের কোনো সম্পর্ক নেই, এটি একটি ভুল ধারণা।

জানা গেছে, এলার্জিতে আক্রান্ত রোগীদের প্রথমে হাতে চিপায় পানি গোটা ওঠে। এরপর সেটি সাদা হয়ে স্ক্যাভিসে রূপ নেয়। আবার অনেকের শরীরের চামড়ার নিচে চুলকায়। চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে বায়ুদূষণ, দূষিত পানি, অনিয়ন্ত্রিত খাবার ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অ্যালার্জি বৃদ্ধির প্রধান কারণ। পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে ছোঁয়াচে প্রকৃতির কারণে অন্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।

চিকিৎসকেরা সতর্ক করেছেন, এ রোগ দীর্ঘস্থায়ী হলেও চিকিৎসা নিলে সম্পূর্ণ সেরে ওঠা সম্ভব। ত্বকে যেই অ্যালার্জি হয় একে সাধারণত বলা হয় আর্টিকেরিয়া। শরীর চাক চাক হয়ে যায়, লাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের শরীওে এলার্জি হয়, এতে চামড়া লাল হয়ে যায়, চুলকায়- একে বলে এটোপিক ডার্মাটাইটিস। বড়দের অনেক সময় হয় কনট্রাক্ট ডার্মাটাইটিস। কোনো কোনো স্পর্শে অ্যালার্জি হয়- এগুলো হয় ত্বকে। নাকের মধ্যে অ্যালার্জি হয়ে নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়। অনবরত হাঁচির এলার্জিকে বলা হয়, অ্যালার্জি রাইনাইটিস। অনেকের আবার ফুসফুসের মধ্যে অ্যালার্জি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, কাশি হয়, এতে রাতে ঘুমাতে পারে না। এই সবই অ্যালার্জির বিভিন্ন রকম প্রকাশ।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ আসিফ রহমান জানান, আসলে সবারই একটি অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো উচিত। কার কিসে অ্যালার্জি। কারো মাইটে অ্যালার্জি হয়, কারো ফাঙ্গাল অ্যালার্জি হয়। তিনি বলেন, আমাদের একটি সাধারণ ধারণা অ্যাজমা হয়েছে, সুতরাং গরুর মাংস, চিংড়ি, বোয়াল মাছ, গজার মাছ সব খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে এগুলো ঠিক নয়।

তার মতে, দেশে শতকরা ৯৮ শতাংশ রোগীরই গরুর মাংসে অ্যালার্জি হয় না। গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা। তাই অ্যাজমা হয়েছে দেখে গরুর মাংস, চিংড়ি খাওয়া যাবে না, সেটি ঠিক নয়। প্রথমে একটি অ্যালার্জির পরীক্ষা করতে হবে। অ্যালার্জি পরীক্ষা করে যে এলার্জেন পাওয়া যায় সেটিকে শুধু এড়িয়ে যেতে হবে।
রিয়াজ/সানা/আপ্র/১১/১১/২০২৫