ঢাকা ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

গল্প-আড্ডায় সম্প্রীতির ইফতার

  • আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বৃত্তাকারে বসে পড়েন তারা। কোনো দলে ১০ জন, আবার কোনো দলে ১৫ থেকে ২০ জন। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে সবাই থাকে মাগরিবের আজানের ধ্বনির অপেক্ষায়। চলমান রমজানে ইফতারকে কেন্দ্র করে এভাবেই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের পদচারণায় মুখরিত, প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেখা যায়, জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলাদা আলাদা গ্রুপ করে গোল হয়ে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝে পত্রিকা বিছিয়ে কিংবা বড় বোলের মধ্যে ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি আর আলুর চপ একসঙ্গে মেশানো। সবাই আজানের ধ্বনির অপেক্ষায়। সবাই মশগুল গল্প, খুনসুটি আর আড্ডায়। আর এভাবেই পরিবারের সঙ্গে ইফতার না করার কষ্ট ভুলে থাকেন তারা। এটাই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নিত্যদিনের চিত্র।
বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব মাহমুদ বলেন, নিজের পরিবার, মা-বাবা, ভাইবোন থেকে দূরে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার আরেকটি পরিবার হয়েছে। ইফতারের এই সময়ে বাসার কথা বেশি মনে পড়লেও বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সেই প্রভাব পড়ে না। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার ভাগাভাগি করে খাবার যে আনন্দ, তা পরিবারের থেকে কোনো অংশে কম নয়। যতদিন ক্যাম্পাসে আছি, আশা করি বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। ইফতারে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীরাই নন, এই আয়োজনে মিলিত হন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থীরাও। এই ইফতার যেন উৎসব হয়ে এসেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। এ উপলক্ষে সম্প্রীতির বন্ধন আরও অটুট হচ্ছে। অন্য ধর্মের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়ে অসাম্প্রদায়িকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন এসব শিক্ষার্থী। ইফতারে অংশ নেওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী অঞ্জন কুমার দাস বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতার আয়োজনেও সাহায্য করেছি। খুবই ভালো লাগছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গল্প-আড্ডায় সম্প্রীতির ইফতার

আপডেট সময় : ০৯:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বৃত্তাকারে বসে পড়েন তারা। কোনো দলে ১০ জন, আবার কোনো দলে ১৫ থেকে ২০ জন। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে সবাই থাকে মাগরিবের আজানের ধ্বনির অপেক্ষায়। চলমান রমজানে ইফতারকে কেন্দ্র করে এভাবেই সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের পদচারণায় মুখরিত, প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দেখা যায়, জাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আলাদা আলাদা গ্রুপ করে গোল হয়ে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা। মাঝে পত্রিকা বিছিয়ে কিংবা বড় বোলের মধ্যে ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি আর আলুর চপ একসঙ্গে মেশানো। সবাই আজানের ধ্বনির অপেক্ষায়। সবাই মশগুল গল্প, খুনসুটি আর আড্ডায়। আর এভাবেই পরিবারের সঙ্গে ইফতার না করার কষ্ট ভুলে থাকেন তারা। এটাই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের নিত্যদিনের চিত্র।
বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব মাহমুদ বলেন, নিজের পরিবার, মা-বাবা, ভাইবোন থেকে দূরে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার আরেকটি পরিবার হয়েছে। ইফতারের এই সময়ে বাসার কথা বেশি মনে পড়লেও বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সেই প্রভাব পড়ে না। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার ভাগাভাগি করে খাবার যে আনন্দ, তা পরিবারের থেকে কোনো অংশে কম নয়। যতদিন ক্যাম্পাসে আছি, আশা করি বন্ধুদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। ইফতারে শুধু মুসলিম শিক্ষার্থীরাই নন, এই আয়োজনে মিলিত হন অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থীরাও। এই ইফতার যেন উৎসব হয়ে এসেছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। এ উপলক্ষে সম্প্রীতির বন্ধন আরও অটুট হচ্ছে। অন্য ধর্মের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ইফতারে অংশ নিয়ে অসাম্প্রদায়িকতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন এসব শিক্ষার্থী। ইফতারে অংশ নেওয়া সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী অঞ্জন কুমার দাস বলেন, বড় ভাইদের সঙ্গে ইফতার করেছি। ইফতার আয়োজনেও সাহায্য করেছি। খুবই ভালো লাগছে।