ঢাকা ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

গরীবেরাও স্বপ্ন দেখতে পারেন: দ্রৌপদী মুর্মু

  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রান্তিক আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, নির্বাচনে তার জয় দেশের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের অর্জন। একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন এই নারী বলেন, ‘দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখতে পারেন।’ সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার কাছে শপথ নেওয়ার পর এসব মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে মুর্মুর আসীন হওয়ার এই ঘটনাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের এই দেশটির প্রায় ৮ শতাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ের, আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতের নবনির্বাচিত আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। ওই সময় ওড়িশার এই আদিবাসী নারীকে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তখন ঝাড়খ- রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক স্কুলশিক্ষক মুর্মু দ্বিতীয় নারী হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হয়েছেন। যদিও এই পদ অনেকটা আনুষ্ঠানিক মাত্র। দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ১৯৫৮ সালে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্য তিনি।
গতকাল সোমবার শপথ নেওয়ার পর সংসদে দেওয়া ভাষণে ৬৪ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, ‘আমার নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে, ভারতের দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখতে এবং তা পূরণ করতে পারেন।’ ‘এটি আমার জন্য অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় যে, যারা শতকের পর শতক ধরে বঞ্চিত এবং যারা উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারেন না, সেই দরিদ্র, নি¤œবিত্ত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসীরা আমার মাঝে তাদের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন।’
মুর্মুর শপথ গ্রহণকে ‘ভারতের— বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও নি¤œবিত্তদের জন্য’ এক পরম মুহূর্ত উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসাবে কাজ করলেও নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত

গরীবেরাও স্বপ্ন দেখতে পারেন: দ্রৌপদী মুর্মু

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্রান্তিক আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, নির্বাচনে তার জয় দেশের প্রত্যেক দরিদ্র মানুষের অর্জন। একেবারে দরিদ্র পরিবার থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে আসীন এই নারী বলেন, ‘দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখতে পারেন।’ সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনার কাছে শপথ নেওয়ার পর এসব মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে মুর্মুর আসীন হওয়ার এই ঘটনাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের এই দেশটির প্রায় ৮ শতাংশই আদিবাসী সম্প্রদায়ের, আগামী ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এই পদক্ষেপ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ভারতের নবনির্বাচিত আদিবাসী নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। ওই সময় ওড়িশার এই আদিবাসী নারীকে দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তিনি তখন ঝাড়খ- রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক স্কুলশিক্ষক মুর্মু দ্বিতীয় নারী হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হয়েছেন। যদিও এই পদ অনেকটা আনুষ্ঠানিক মাত্র। দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ১৯৫৮ সালে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে। ভারতের অন্যতম বৃহৎ আদিবাসী গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সদস্য তিনি।
গতকাল সোমবার শপথ নেওয়ার পর সংসদে দেওয়া ভাষণে ৬৪ বছর বয়সী এই নারী বলেছেন, ‘আমার নির্বাচন প্রমাণ করেছে যে, ভারতের দরিদ্ররাও স্বপ্ন দেখতে এবং তা পূরণ করতে পারেন।’ ‘এটি আমার জন্য অত্যন্ত তৃপ্তির বিষয় যে, যারা শতকের পর শতক ধরে বঞ্চিত এবং যারা উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারেন না, সেই দরিদ্র, নি¤œবিত্ত, পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসীরা আমার মাঝে তাদের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন।’
মুর্মুর শপথ গ্রহণকে ‘ভারতের— বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও নি¤œবিত্তদের জন্য’ এক পরম মুহূর্ত উল্লেখ করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসাবে কাজ করলেও নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রী।