লাইফস্টাইল ডেস্ক : ছোলার ডাল দিয়ে যে কোনো পদ রান্নাই মুখোরোচক হয়। নিরামিষ ছোলার ডাল কিংবা মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল রান্না হয়তো কমবেশি সবাই খেয়েছেন। তবে ছোলার ডাল দিয়ে রুই মাছ রান্না কিছুটা সামান্য। তবে স্বাদে অনন্যা। গরম ভাতের সঙ্গে এই পদ খাওয়ার মজাই আলাদা। রইলো রেসিপি-
উপকরণ: ১. রুই মাছ ৬-৭ পিস ২. ছোলার ডাল ১৫০ গ্রাম ৩. তেজপাতা ২টি ৪. গোটা গরম মসলা পরিমাণমতো ৫. আস্ত জিরা ১ টেবিল চামচ ৬. আদা ১ টেবিল চামচ ৭. হলুদ গুঁড় ৩ টেবিল চামচ ৮. মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ৯. জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ ১০. পেঁয়াজ ২টি (মাঝারি সাইজ) ১১. টমেটো ২টি ১২.কাঁচা মরিচ ৪-৫টি ১৩. লবণ স্বাদমতো ১৪. চিনি স্বাদমতো ১৫. গরম মসলা ১ টেবিল চামচ ১৬. ঘি ১ টেবিল চামচ ১৭. ধনেপাতা কুচি আন্দাজমতো ও ১৮. সরিষার তেল পরিমাণমতো।
পদ্ধতি: ছোলার ডাল দুই-তিন ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। লবণ-হলুদ মাখিয়ে মেরিননেট করে রাখুন। অন্যদিকে আদা বেটে নিন। পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নিন ও কাঁচামরিচ চিরে নিন। এবার সরিষার তেলে মাছ ভেজে আলাদা করে রেখে দিন। সেদ্ধ ডালের অর্ধেকটা একটি বাটিতে তুলে রাখুন। এটি রান্নায় লাগবে। বাকি অর্ধেক ডাল মিক্সিতে মিহি করে বেটে নিন। তারপর রান্না শুরু করুন। কড়াইয়ে তেল ও এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, শুকনো মরিচ, আস্ত জিরা ও গরম মসলা ফোঁড়ন দিন। গন্ধ উঠলে তাতে আদা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মরিচে গুঁড়ো ও ১ টেবিল চামচ জিরার গুঁড়া নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে গুলে নিন। আদার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে এই মসলা দিয়ে ক্রমাগত কম আঁচে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ না মসলার তেল আলাদা হচ্ছে, ততক্ষণ নেড়ে যেতে হবে। মসলার তেল আাদা হলে এতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে থাকুন। যতক্ষণ না পেঁয়াজের রং পরিবর্তন হচ্ছে ততক্ষণ ভাজতে থাকুন। এরপর দিয়ে দিন কাঁচা মরিচ ও টমেটো। খেয়াল রাখবেন, টমেটো যতক্ষণ না সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ ভাজতে থাকুন। দিয়ে দিন স্বাদ অনুযায়ী লবণ। ভালো করে নাড়াচাড়া করে বাটিতে তুলে রাখা সেদ্ধ ছোলার ডাল দিয়ে মেশান। তারপর এতে বেটে রাখা সেদ্ধ ছোলার ডাল দিন। খুব ভালো করে মেশান। স্বাদমতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ডাল ফুটে এলে তাতে এক টেবিল চামচ ঘি, এক টেবিল চামচ গরম মসলা ও সামান্য ধনে পাতা কুচি দিয়ে মেশান। ডাল বেশি ঘন হয়ে গেলে তাতে সামান্য গরম পানি দিয়ে ব্যালেন্স করে নিতে পারেন। তবে ছোলার ডাল ঘন হলেই খেতে ভালো লাগে। ডাল ফুটতে শুরু করলে তাতে ভাজা মাছ দিয়ে ভালো করে মেশান। উপরে ছড়িয়ে দিন ধনে পাতা কুচি। ভাতের সঙ্গে রুই মাছের ডাল থাকলে আর কোনো তরকারি বা পদের দরকার পড়ে না। গরম গরম ভাতে গরম গরম মাছের ডাল মেখে খান।