স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : তীব্র রোদ আর গরমে দেখা দেয় নানা শারীরিক অসুস্থতা। এগুলোর মধ্যে হিটস্ট্রোক একটি।
হিটস্ট্রোক কী
শরীর প্রাকৃতিকভাবেই নিজেকে শীতল রাখতে পারে। ঘামের মাধ্যমে শরীরের ভেতরকার তাপ বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় তখন নিজেকে ঠা-া রাখার জন্য শরীর যথেষ্ট পরিমাণ ঘাম উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। কখনও তাপমাত্রা বেড়ে ১০৪ ডিগ্রি বা এর উপরে উঠে যায়। এ সময় হিটস্ট্রোক হতে পারে।
লক্ষণ
- মাথাব্যথা
- মাথা ঘোরা
- বিভ্রান্তি, ক্লান্তিবোধ
- ঘাম না হওয়া ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
- দ্রুত হৃৎস্পন্দন
- হ্যালুসিনেশন
- বমিভাব
হিটস্ট্রোক এড়াতে যা খাবেন :
পানি : সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। গরমে শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়। প্রতি ২০ মিনিটে অর্ধেক গ্লাস পানি পান করুন।
ফ্লেভারড ওয়াটার : চিনি ও আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ছাড়া পানিতে লেবু, শসা, মালটা, কমলা বা স্ট্রবেরির স্লাইস দিন। কয়েক ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। খাওয়ার সময় চাইলে লেবুর রসও মেশাতে পারেন।
সেলারি জুস : ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিনের সঙ্গে সঙ্গে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস ও ক্লোরাইড বের হয়ে যায়। সেলারি জুস পারফেক্ট রিহাইড্রেটর। এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক সোডিয়াম। প্রতিদিন সেলারি জুস খেলে শরীরে তাপ সহ্যক্ষমতা বাড়বে।
ঠা-া সবজি ও ফলমূল : শসা, রান্না করা বীট, বাঁধাকপি, সেলারি, শতমূলী, মটরশুটি, গাজর, ছোলা, ব্রোকোলি, ফুলকপি, তরমুজ, নাশপাতি, বেদানা, কলা, আম, ব্লু-বেরি, কেনবেরি, আঙুর, আনারস, আম, পেঁপে, নারিকেল, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি খান।
হারবাল : তুলসি, পুদিনা, ধনেপাতা শরীরকে ঠা-া রাখে।
যা খাবেন না : - ভাজা খাবার
- প্রক্রিজাত করা মাংস
- অ্যালকোহল
- ক্যাফেইন
- উষ্ণ মসলা- গোলমরিচ, রসুন, লবঙ্গ, দারুচিনি, আদা, জয়ফল