ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

গভর্নরকে ডিবিএ’র চিঠি,পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ৫ বছর বাড়ানোর সুপারিশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। একইসঙ্গে তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এসব দাবি ও সুপারিশ জানানো হয়।

প্রেরিত এ চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত: পুজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ তারিখে ডিওএস সার্কুলার নং-০১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল প্রদানের নির্দেশনা জারী করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল।

এই তহবিলের মেয়াদ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গভর্নর বরাবর প্রেরিত চিঠিতে ডিবিএ বলেছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ২০২১ সালের শেষ থেকে পুজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে, যার ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০%, বা ২,৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার এবং অন্যান্য অংশীদারদের সহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ থেকে থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ডিবিএ জানায়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এই তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য গভর্নর মহোদয়ের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করি ,পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে সুপারিশগুলো তিনি বিবেচনা করবেন।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভর্নরকে ডিবিএ’র চিঠি,পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ৫ বছর বাড়ানোর সুপারিশ

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা আরও ৫ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। একইসঙ্গে তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বরাবর ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে এসব দাবি ও সুপারিশ জানানো হয়।

প্রেরিত এ চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত: পুজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ তারিখে ডিওএস সার্কুলার নং-০১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল প্রদানের নির্দেশনা জারী করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল।

এই তহবিলের মেয়াদ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গভর্নর বরাবর প্রেরিত চিঠিতে ডিবিএ বলেছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ২০২১ সালের শেষ থেকে পুজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে, যার ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০%, বা ২,৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী, স্টক-ব্রোকার এবং অন্যান্য অংশীদারদের সহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে যাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ থেকে থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ডিবিএ জানায়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এই তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য গভর্নর মহোদয়ের নিকট সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করি ,পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে সুপারিশগুলো তিনি বিবেচনা করবেন।