প্রযুক্তি ডেস্ক : সেবা গ্রাহকদের গোপনতা রক্ষার অজুহাতে ‘অন্য উদ্দেশ্য হাসিল’-এর চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে ফেইসবুককে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)।
সম্প্রতি, অনুমতি ছাড়া ডেটা সংগ্রহের অভিযোগ তুলে একদল গবেষকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে ফেইসবুক। ‘অ্যাড অবজার্ভেটরি’ নামের একটি প্রকল্পের অংশ ছিলেন ওই গবেষকরা। ফেইসবুক কীভাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য গ্রাহক চিহ্নিত করে এবং ওই বিজ্ঞাপনের খরচ কে বা কারা দেয়, সেই বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন ওই গবেষক
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, গবেষকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করার সময় এফটিসির নীতিমালার অজুহাত দিয়েছিলো ফেইসবুক। “এফটিসির গোপনতা নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে” গবেষকদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলো প্রতিষ্ঠানটি। তবে ফেইসবুকের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন গবেষকরা। আরেক প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যার্ড জানায়, গবেষকদের কাজ বন্ধ করার মতো কোনো ধারাই নেই এফটিসির নীতিমালায়। এই প্রসঙ্গে অবশেষে মুখ খুলেছে এফটিসি। ফেইসবুকের ব্যাখ্যাকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভুল’ বলে চিহ্নিত করে কড়া ভর্ৎসনা জানিয়েছে সংস্থাটি। মার্ক জাকারবার্গকে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষায় লেখা এক চিঠিতে ‘ব্যুরো অফ কনজিউমার প্রোটেকশন’-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক স্যামুয়েল লেভিন লিখেছেন, “এই বিষয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের আচরণে আমরা হতাশ।”
“মানুষের গোপনতা অধিকার রক্ষায় এফটিসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং ওই লক্ষ্যের বিপরীতে কাজ করে এমন তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাপনী প্রচারণার সমালোচনা করে থাকে”, লিখেছেন লেভিন।
“আপনি যদি আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করার প্রতিশ্রুতি রাখতেন, তবে আমরা এটা নির্দিষ্ট করে বলে দিতাম যে আমাদের নীতিমালা জনস্বার্থে পরিচালিত গবেষণার ক্ষেত্রে ফেইসবুককে বাধা দেয় না। এটা সত্যি যে, এফটিসি অস্বচ্ছ ব্যবসা কৌশল, বিশেষ করে নজরদারি ভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রচারণা চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। যদিও তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে ফেইসবুকের রেষারেষির সমাধান করার দায়িত্ব এফটিসির নয়, আমরা আশা করছি যে আপনার প্রতিষ্ঠানটি গোপনতা এবং এফটিসি নীতিমালার অজুহাত তুলে অন্য কোনো উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করবে না।” এফটিসির সমালোচনার পরিপ্রেক্ষীতে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ফেইসবুক।
গবেষকদের নিয়ে ফেইসবুককে এফটিসির কড়া ভর্ৎসনা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ