নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এবারের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সরকার রমজানের পুরো মাস নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
শনিবার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নিত্যপণ্যের দাম প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, গত রমজান মাসের তুলনায় এই রমজানে বেশিরভাগ পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে, দাম কমেছে। এই যে সহনীয় পর্যায়ে আসা এটা আমাদের পুরো রমজানে ফোকাস থাকবে যে দামটিকে কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়। রোজার সময় কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়, বিশেষ করে ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি। এছাড়া ছোলা, খেজুরের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি। প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে সরকারের ফোকাস হচ্ছে কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়। এটার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, ট্যারিফ কমিশন। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আজকে আমরা বলতে পারি যে অনেক পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু জিনিস যেমন ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাড়াতে কাজ করা হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন মনিটর করছি কত টন তেল আমদানি হচ্ছে, তাতে আমরা মনে করছি যে সরবরাহ পরিস্থিতি সামনে আরো ভালো হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি আমরা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি এটাৃ আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে খোলা সয়াবিন তেলের দাম একটু কমা শুরু হয়েছে এবং আমরা আশা করছি সামনে সরবরাহ পরিস্থিতি আরও ভালো হলে দাম আরেকটু ভালো জায়গায় যাবে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের কথা আমরা দেখেছি যে কেউ কেউ বলেছে যে বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা আছে যে সরবরাহ যাতে ঠিক পর্যায়ে আসে, সবার জন্য যেন পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকে।
চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি, এই প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ কিন্তু দেওয়া হয়েছে। বিএনপি হয়ত সুনির্দিষ্ট একটা তারিখ চাচ্ছে। সরকার কিন্তু বারবার বলেছে যে, নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে হবে যদি সব রাজনৈতিক দল মনে করে কোর রিফর্ম করে তাড়াতাড়ি নির্বাচনের দিকে দেশ ধাবিত হবে, তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। যদি তারা চান আরও কিছু সংস্কার হোক তাহলে সেক্ষেত্রে আরও ৩ মাস দেরি হতে পারে।
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের আলোচনা আবার কবে শুরু হচ্ছে জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, আমরা আশা করছি এটা খুব শিগগিরই শুরু হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসময় পাবনায় ডাকাতির ঘটনা প্রসঙ্গে বিভ্রান্তি হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। পাবনার আঞ্চলিক একটি মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল এবং একটি সিএনজি অটোরিকশা– এই তিনটি পরিবহনে ডাকাতি হয়েছে এবং সেখানে আরও দুটি ট্রাক ছিল, মোট ৫টি পরিবহন ছিল। এর বাইরে আর কোনো গাড়ি সেখানে সেভাবে ছিল না। ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে পুলিশের টহল গাড়ি সেখানে পৌঁছায়।