নিজস্ব প্রতিবেদক : গণমাধ্যমের একটা অংশ একতরফাভাবে বিএনপির পক্ষ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে শেখ হাসিনার জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। আর সেই নিউজ প্রথম পাতায় আসেনি। গণমাধ্যমে আমাদের প্রাপ্ত কাভারেজটুকু আমরা চাই।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকম-লীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদ্বয়ের যৌথ সভায় তিনি একথা বলেন। বিএনপি দেশে আগুন-সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা কার্যকর করেছে।’
‘আওয়ামী লীগ যা আশঙ্কা করেছিল তাই শুরু হয়ে গেছে। বিএনপি সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে। তারা আবারও বিশৃঙ্খলা করে পুলিশের ওপর হামলা করছে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে আর শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা দেখে নাশকতা বিশৃঙ্খলা করছে বিএনপি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ করে আর কোনো সমাবেশ হবে না। আওয়ামী লীগও আর রাস্তায় সমাবেশ করবে না। বিএনপি কি মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘লন্ডন থেকে তারেক জিয়া মির্জা ফখরুলকে আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশ পালন করার জন্য গতকালের ঘটনা। আদেশ পালন না করলে ফখরুলের চাকরি থাকবে না।’
‘বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশের পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, থানা, জেলায় পাহারায় থাকবে। আওয়ামী লীগ আক্রমণ করবে না, আক্রমণ করলে জবাব দেবে। অকারণে নিজেদের আক্রমণকারী হওয়া যাবে না। মাথা ঠান্ডা রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আক্রমণকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের যেন বদনাম না হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিএর গাড়ি আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। এই নিউজ গণমাধ্যম ভালোভাবে আসেনি। কক্সবাজারে শেখ হাসিনার জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছে, সেই নিউজ পত্রিকায় প্রথম পাতায় আসেনি। আমরা আগেও বলেছি মিডিয়ার কাছে বেশি চাই না। আমাদের প্রাপ্ত কাভারেজটুকু আমরা চাই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রও আমরা দেখছি। সবার সঙ্গে আমরা বন্ধুত্ব রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই। কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়।’
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
গণমাধ্যমের একটা অংশ বিএনপির পক্ষ নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ