ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি

  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে লেখক ও গবেষক এবাদুর রহমানকে প্রধান করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই কমিটির কাজ শুরু হবে।
শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এ জাদুঘরের চূড়ান্ত রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে’ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সারাদেশে পতিত আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে গণভবনে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণাকেন্দ্রও থাকবে।’
কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপরই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অভ্ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার; ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের আর্কিটেক্ট তানজিম হাসান সেলিম। এছাড়াও কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, সেগুলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে আয়না ঘরের একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসাবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলতি সপ্তাহে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের নবগঠিত কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের কোচ গম্ভীরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সাবেক ওপেনারের

গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে ১৯ সদস্যের কমিটি

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করতে লেখক ও গবেষক এবাদুর রহমানকে প্রধান করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই কমিটির কাজ শুরু হবে।
শনিবার (২ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ‘এক সপ্তাহের মধ্যে এ জাদুঘরের চূড়ান্ত রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে’ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সারাদেশে পতিত আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে গণভবনে। আয়নাঘরের রেপ্লিকা হবে। এখানে একটি গবেষণাকেন্দ্রও থাকবে।’
কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপরই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া; আলোকচিত্রী, শিক্ষক ও শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তানজিম ওয়াহাব; লেখক ও গবেষক সহুল আহমেদ মুন্না; স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক; আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি; গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী; স্থাপত্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া; ইন্সটিটিউট অভ্ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি বা উপযুক্ত প্রতিনিধি; নকশাবিদ আর্কিটেক্টসের লিড আর্কিটেক্ট বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার; ডিজাইন ওয়ার্কস গ্রুপের আর্কিটেক্ট তানজিম হাসান সেলিম। এছাড়াও কমিটিতে এক বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত হবেন।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে নিপীড়নের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে, সেগুলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। এর পাশাপাশি এই জাদুঘরে ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও সংরক্ষণ করা হবে। জাদুঘরে আয়না ঘরের একটি রেপ্লিকা তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্র হিসাবেও এই জাদুঘরকে প্রতিষ্ঠা করা হবে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার বিজয়ের স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে জনগণ এই জাদুঘরকে ধারণ করবে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের মানবিক মর্যাদা রক্ষার্থে গণভবনে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকার-প্রধানের দম্ভ ভেঙে দিয়েছে। গত ১৬ বছরে এই গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল। আবার এই গণভবনে জনগণের বিজয়ের স্মৃতিচিহ্নও রয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়ের চিহ্নও এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। চলতি সপ্তাহে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের নবগঠিত কমিটি কাজ শুরু করতে পারবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।