ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, ভাড়া নৈরাজ্য চরমে

  • আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারিতে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল শনিবার এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ দাবি জানানো হয়। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া গণপরিবহনে যাত্রীদের যাতায়াত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সমিতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার মানুষের জীবন-জীবিকা ও ঈদে অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের শর্তে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায় সাপেক্ষে সব শ্রেণির গণপরিবহন চালু করেছে। এতে যাত্রী, চালক, কন্ডাক্টর ও সহকারী সবার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার কথা ছিল। অর্ধেক আসনে যাত্রী নেয়া ও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিবহন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলার গণপরিবহন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এ সব শর্তাবলির মধ্যে শুধু মাস্ক পরিধানের বিষয়টি অধিকাংশ পরিবহনে অনুসরণ করলেও অন্যান্য শর্তাবলি মানা হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেশিরভাগ পরিবহনে আসন ভর্তি করে যাত্রী তোলার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে। সরকার গণপরিবহনে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলেও কোনো কোনো পরিবহনে ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নৌপথের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমারের পাশাপাশি খেয়াঘাটগুলোতে গত দুদিনে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যাত্রীপ্রতি ২ টাকা ভাড়া আদায়ের স্থলে কোনো কোনো খেয়াঘাটে ১০ টাকা, কোথাও ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া নৌপথে অধিকাংশ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সড়কপথে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকলেও তাদের কার্যক্রমে এসব অনিয়ম বন্ধে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, ভাড়া নৈরাজ্য চরমে

আপডেট সময় : ০২:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারিতে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের কাছ থেকে গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল শনিবার এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন প্রকাশকালে এ দাবি জানানো হয়। গত ১৫ ও ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া গণপরিবহনে যাত্রীদের যাতায়াত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সমিতি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার মানুষের জীবন-জীবিকা ও ঈদে অর্থনীতির কথা বিবেচনা করে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের শর্তে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায় সাপেক্ষে সব শ্রেণির গণপরিবহন চালু করেছে। এতে যাত্রী, চালক, কন্ডাক্টর ও সহকারী সবার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার কথা ছিল। অর্ধেক আসনে যাত্রী নেয়া ও জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিবহন জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলার গণপরিবহন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এ সব শর্তাবলির মধ্যে শুধু মাস্ক পরিধানের বিষয়টি অধিকাংশ পরিবহনে অনুসরণ করলেও অন্যান্য শর্তাবলি মানা হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেশিরভাগ পরিবহনে আসন ভর্তি করে যাত্রী তোলার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে। সরকার গণপরিবহনে ৬০ ভাগ বর্ধিত ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলেও কোনো কোনো পরিবহনে ৩০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নৌপথের বিভিন্ন রুটের লঞ্চ ও স্টিমারের পাশাপাশি খেয়াঘাটগুলোতে গত দুদিনে যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। যাত্রীপ্রতি ২ টাকা ভাড়া আদায়ের স্থলে কোনো কোনো খেয়াঘাটে ১০ টাকা, কোথাও ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া নৌপথে অধিকাংশ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সড়কপথে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে থাকলেও তাদের কার্যক্রমে এসব অনিয়ম বন্ধে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।